চবিতে আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫০ | আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৭৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপ উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চবির শহিদ মিনার চত্বরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ কথা জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও তাদের পক্ষে থাকায় সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সর্বমোট ৭৩ জন শিক্ষার্থীকে আমরা বহিষ্কার করেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে যাদের বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি। পরবর্তীতে প্রমাণ সাপেক্ষে আরও শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করা হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে চবি উপাচার্য ইয়াহিয়া আখতার বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শহিদদের জন্যই আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়েই এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। তাদের অবদানের কারণেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে আসতে পেরেছি। শহিদ ফরহাদ ও শহিদ হৃদয় তরুয়ার এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য করছি। শহিদদের শুধু ফুল দিলেই তাদের সম্মান করা হয় না, বিশ্ববিদ্যালয়কে অ্যাকাডেমিকভাবে এগিয়ে নিলেই প্রকৃত অর্থে শহিদদের সম্মান করা হবে।’
আন্দোলনে শহিদ চবির দুই শিক্ষার্থীর স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘শহিদ হৃদয় তরুয়া ও শহিদ ফরহাদের রক্তের ওপর দিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাঁড়িয়ে রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী চেতনাকে লালন করেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হচ্ছে। আমরা শহিদদেরকে যথাযথ সম্মান করার চেষ্টা করছি। সে হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি দুই শহিদের স্মরণে স্থাপত্য এবং স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করার। শহিদদের রক্তে ওপর নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, আন্দোলনে শহিদ হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ও ফরহাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/এমআর/ এইচআই