Tuesday 28 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসকে সুরের গোপন লকার খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদকের টিম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:২২ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৬

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এস কে) সুর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী (এস কে সুর) এর গোপন লকার খুলতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৭ সদস্যের একটি টিম রোববার (২৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযানে এসেছেন। এছাড়া একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও এখানে উপস্থিত রয়েছেন।

জানা গেছে, লকার খোলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুদক টিমের বৈঠক চলছে। বৈঠক শেষেই লকার খোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে সংস্থাটি জানতে পারে, সেটি ভল্ট নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবান সামগ্রী রাখার লকার (সেফ ডিপোজিট)।

এর পর দুদকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া চিঠিতে লকারের সামগ্রী অন্য কোথাও বা কারো কাছে স্থানান্তর ও হস্তান্তর না করার অনুরোধ জানানো হয়।

দুদকের চিঠির প্রেক্ষিতে গত ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা থেকে দুদককে ফিরতি চিঠি দিয়ে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত করার তথ্য জানানো হয়।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে বিধি অনুযায়ী ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মূল্যবান সামগ্রী তাদের নিজ নামে প্যাকেট অথবা কৌটায় নিজ দায়িত্বে সিলগালাযুক্ত অবস্থায় জমার তারিখ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত রাখা হয়।

পরবর্তীতে ২৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক আরেক চিঠিতে জানায়, এসকে সুর তিনটি লকার নম্বরে মূল্যবান সামগ্রী রেখেছেন। এর মধ্যে গত বছর ২৫ সেপ্টেম্বরের এসডি-৪৪/৬১ এবং ২০১৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারির এসডি-৪৮/১২ নম্বরের নমিনি করেছেন স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীকে।

বিজ্ঞাপন

আর ২০১৭ সালের ১২ জুলাইয়ের এসডি-৪৭/৩৫ নম্বরে রাখা সামগ্রীর নমিনি করেছেন মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীকে। সামগ্রীগুলোর ধরণ চিঠিতে সম্পর্কে বলা হয়, সেগুলো কাপড়ে মোড়ানো গালাযুক্ত কৌটা বা প্যাকেট। তবে ওই তিনটি লকারে কী রেখেছেন এস কে সুর, তা বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়নি।

সূত্র জানায়, লকারে রাখা প্যাকেট ও কৌটা সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা জানলেও, এর ভেতরে সামগ্রীর বিষয়ে জানে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের এ চিঠির পর দুদক সেটি খুলে দেখার জন্য অনুমতি চায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, লকার খুলতে আদালতের অনুমতি লাগবে। পরে ২২ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন স্বাক্ষরিত আবেদন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরদিন লকার খোলার অনুমতি দেন আদালত।

সূত্র জানায়, দেশের আর্থিক খাত থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচারকারী পি কে হালদারের ক্ষমতার উৎসে যারা ছিলেন, এসকে সুর তাদের অন্যতম।

সারাবাংলা/জিএস/আরএস

এসকে সুরের গোপন লকার দুদক বাংলাদেশ ব্যাংক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর