ইসিতে দুদকের অভিযান, মিলল ত্রুটিপূর্ণ ইভিএম
২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৪ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১২
ঢাকা: নিম্ন মানের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে শেষে দুদক জানিয়েছে, ইসির কেনা ইভিএম মেশিনে ত্রুটি ধরা পড়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন অফিসে অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি জানান, দুদকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ইসিতে ইভিএম এর গোডাউন ঘুরে দেখেন। তারা তিনটি ইভিএম পরীক্ষা করে দেখেন, এরমধ্যে একটি ইভিএম নষ্ট পান।
দুদকের সহকারী পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিম্নমানের ইভিএম কিনেছে এ অভিযোগের প্রেক্ষাপটে দুদক অভিযানে নেমেছে। ২০১৮ সালে এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনা হয়েছিল, এরমধ্যে এক লাখ ৫ হাজার মেশিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসি তিনটি স্থানে এগুলো সংরক্ষণ করেছে- আঞ্চলিক ১০টি কার্যালয়, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এবং নির্বাচন কমিশনে। র্যান্ডম ভিত্তিতে ইসির সংরক্ষিত মেশিনগুলোর মধ্যে তিনটি পরীক্ষা করে দেখা হয়। এরমধ্যে একটি মেশিন অচল, তবে বাকি দুটি ঠিক ছিল। ইসি ৬১৮টি ইভিএম সংরক্ষণ করেছে। এছাড়া বিএমসটিএফ ৮৬ হাজার এবং ইসির ১০টি আঞ্চলক অফিসে ৬২ হাজার ইভিএম সংরক্ষণ করছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক জানান, অভিযান কালে নিম্ন মানের মেশিন কেনার ক্ষেত্রে কিছু রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি। বাকি রেকর্ড সংরক্ষণ করা হবে। আরও তথ্য যাচাই করে। অভিযান সামনে আরও পরিচালনা করা হবে।
নুর আলম সিদ্দিকি বলেন, ‘অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখার জন্য রেকর্ড প্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। কমিশন জানিয়েছে, তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে। এ জন্য যদি আইটি এক্সপার্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে।’
প্রকল্পের আওতায় আওতায় প্রতিটির দুই লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৩ টাকা দরে মোট দেড় লাখ ইভিএম সেট কেনা হয়। ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর একনেক সভায় অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও এখনো তা ইসিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।
নির্বাচন ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যে তিন হাজার ৮২৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার প্রকল্প নেওয়া হয়।