জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে মানববন্ধন
২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:১৮
ঢাকা: ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতনে লড়াই করে আহত হলাম। এখনো প্রচণ্ড ব্যাথায় ঘুমোত পারি না। তারপরও শান্তি, স্বাধীন দেশে শুয়ে আছি। কিন্তু এখন দেখছি আমরা দেশের কোনো গণনাতেই নেই। চিকিৎসা সুযোগের তালিকায় নেই। আহতদের তালিকাতেও নেই। এ জন্যই কি লড়াই করেছিলাম?’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে শাহবাগ চত্ত্বরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারদের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলছিলেন আন্দোলনে আহত মো. শফিক। প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আজীবন সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ, গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান, ক্যাটাগরি বাতিলের দাবিতে এ মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যরা।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমাদের কয়েকজন আহত ভাই আছেন, যারা হাসপাতালে বসে গ্রুপিং করছেন। তাদের সঙ্গে সরাসরি হাসনাত ভাই, সারজিস ভাইদের কথা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে তারা সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন। তারা তাদের মতো চিকিৎসাভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। কিন্তু আমরা অনেকেই সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এখন পর্যন্ত আহতদের সঠিক তালিকা করা হয়নি। এটা অনেক দুঃখজনক। আমাদের মতো আহতদেরকে বাদ দিয়ে তারা কমিটি তৈরি করছে। এ কমিটি আমরা মানবো না।’
আরেক আহত শিক্ষার্থী মো. আদনান বলেন, ‘এখনো সব শহিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয়নি। তাদের সহায়তা থেকে অনেক শহিদ পরিবার বাদ পড়ে গেছে। অনেক আহত এখনো পুরোপুরি চিকিৎসা পাচ্ছে না। দেশের হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে, আহতদের চিকিৎসা করতে কত টাকা লাগে? আমরা এই দেশকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে জীবন বাজি রেখে বন্দুকের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। আমাদের এই ত্যাগের মূল্য কোথায়? আমরা ত্যাগ শিকার করেছি বলে আজ অর্থ পাচারকারী খুনি হাসিনা ও তার দোসরা পালিয়েছে। আর আমরাই এখন রাষ্ট্রের কাছে যেন অচেনা।’
মানববন্ধন থেকে আহতরা দাবি জানান, যতো দ্রুত সম্ভব আহত ও শহিদদের তালিকা তৈরি করতে হবে। তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানেরও দাবি জানান তারা।
সারাবাংলা/এফএন/এইচআই