মিয়ানমারের চালের জাহাজ বন্দরের জেটিতে, খালাস শুরু রাতে
২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:২৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা চালের চালান নিয়ে মিয়ানমার থেকে আসা জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে নোঙ্গর করেছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) মধ্যরাতে চাল খালাস শুরু হবে বলে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
একইসঙ্গে ভারত থেকে চাল নিয়ে আসা জাহাজটি নোঙ্গরের জন্য এখনও জেটি নির্ধারণ না হওয়ায় সেটি বহিঃনোঙ্গরে অবস্থান করছে।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে মিয়ানমার থেকে আসা জাহাজ এমভি এটিএন ভিক্টরি চট্টগ্রাম বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে।
খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা সারাবাংলাকে জানান, মিয়ানমার থেকে ২২ হাজার মেট্রিকটন আতপ চাল নিয়ে এমভি এটিএন ভিক্টরি এবং ভারত থেকে ১৫ হাজার মেট্রিকটন সিদ্ধ চাল নিয়ে এসেছে এমভি বিএমসি প্যানডোরা। জাহাজ দুটি মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে জলসীমায় প্রবেশ করে।
‘বন্দর কর্তৃপক্ষ শিডিউল দেয়ার পর আজ (বুধবার) দুপুরে এমভি এটিএন ভিক্টরি বন্দরের আট নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। খালাসের জন্য বন্দর ও কাস্টমসের কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। রাত ১১টার দিকে খালাস শুরু হবে বলে আশা করছি।’
জ্ঞানপ্রিয় আরও বলেন, ‘ভারত থেকে আসা জাহাজের জন্য আমরা এখনও জেটির শিডিউল পাইন। জেটি খালি না থাকায় সেটি এখনও আউটারে (বহিঃনোঙ্গর) অবস্থান করছে। আমরা চালের নমুনা সংগ্রহ করেছি। আশা করছি, কাল (বৃহস্পতিবার) সকালের মধ্যে সেটিও জেটিতে ভিড়তে পারবে। এরপর খালাস শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৭ জানুয়ারি সাড়ে ২৪ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে দুটি জাহাজ। জাহাজ দুটির মধ্যে এমভি গোল্ডেন স্টার নামে একটি জাহাজে ছিল ২২ হাজার মেট্রিক টন। অপরদিকে এমভি এমসিএল-১৯ জাহাজে ছিল আড়াই হাজার মেট্রিকটন। এর আগে, গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর ভারত থেকে ২৪ হাজার ৬৯০ মেট্রিকটন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে জাহাজ এমভি টানিস ড্রিম।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সরকারিভাবে আমদানি করা এ তিনটি চালানের চাল খালাস হয়। গত ২১ জানুয়ারি খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার চট্টগ্রামে এসে চাল খালাস পরিদর্শন করেন। তিনি বিভিন্ন দেশ থেকে এ বছর আরও ৮ থেকে ৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির ঘোষণা দেন।
খাদ্য বিভাগের চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক জ্ঞানপ্রিয় বিদূর্শী চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘সরকারি উদ্যোগে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রে বিভিন্ন দেশ থেকে চাল ক্রয় চলছে। ভারত থেকে চুক্তিপত্রের দ্বিতীয় অংশের চাল এসেছে। মিয়ানমার থেকে তৃতীয় চালান এসেছে। পর্যায়ক্রমে আরও চাল আসবে বন্দরে।’
সারাবাংলা/আরডি/এসডব্লিউ