হাসিনার ফাঁসির দাবিতে চট্টগ্রামে আমরণ অনশনের ডাক
৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৭ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:১২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণহত্যায় জড়িত সকলের ফাঁসির দাবিতে এবার আমরণ অনশনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রাম।
সমাবেশের শেষ পর্যায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়ে সেখানেই বসে পড়েন রাসেলসহ অন্যান্যরা।
সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা ‘খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’-সহ বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিতে থাকেন।
রাসেল আহমেদ বলেন, ‘বিপ্লবের ছয়মাস পূরণ হতে যাচ্ছে। আমরা এখনও এ সরকারের কাছে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে পারেনি। আমাদের ভাইদের রক্ত এখনও রাজপথে লেগে আছে। আমি এখানে বসলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেবে না আমরা এখান থেকে উঠব না। আমাদের লড়াই চলছে, লড়াই চলবে। আমরা আমাদের আমরণ অনশন চালিয়ে যাব। আমরা বিচার চাই। বিচার ছাড়া কোনো কথা নেই।’
‘এ সরকার আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় বসেছে। ইউনূস সরকার কি করে। খুনি বাইরের দেশে বসে আছে। তাদের ধরে এনে ফাঁসির দড়িতে ঝুলাতে হবে। এটাই আমাদের শেষ কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে যেভাবে ফ্যাসিবাদী কাঠামো গড়ে উঠেছিল সেটাকে ভেঙ্গে দিয়ে খুনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমরা রাজপথে নেমে এসেছিলাম । এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আমরা নূন্যতম সংস্কার ও বিচার পাইনি। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আমাদের দুই হাজারের অধিক ভাই জীবন দিয়েছে। তারা রাজপথে সাহসিকতার সাথে আওয়ামী লীগের পেটোয়া বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল।’
রাসেল বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এখনও আমাদের খুনি হাসিনা, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের বিচারের দাবিতে রাজপথে নামতে হয়। আমাদের এ মুক্ত বাতাসে এখনও লাশের গন্ধ ভেসে বেড়ায়। বারবার আমাদের তাদের বিচারের দাবিতে আওয়াজ তুলতে হচ্ছে। এ অন্তর্বর্তী সরকারকে সেসব খুনিদের বিচার করার জন্যই ক্ষমতায় বসানো হয়েছে। আজও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুণ্ডাবাহিনী বীর চট্টলার বুকে মিছিল করেছে।’
‘খুনি হাসিনাসহ আমাদের ভাইদের যারা খুন করেছে তাদের বিচার ও ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে এখন থেকেই আমরণ অনশন পালন করব।’
সারাবাংলা/আইসি/এমপি