শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনার গুলিতে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:০৫
ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের সময় তাদের হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গত দুই সপ্তাহ ধরে চলমান ইসরায়েলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ১৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জেনিন শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের সময় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, এই অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে “সন্ত্রাসী অবকাঠামো ধ্বংস করা”। তিনি আরও বলেন, অভিযান শেষ হওয়ার পরও ইসরায়েলি সেনারা শিবিরে অবস্থান করবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, অধিকৃত পশ্চিম তীরে তাদের এক সেনা নিহত হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে গাজার যুদ্ধবিরতির পরপরই ইসরায়েল ‘আয়রন ওয়াল’ নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বেথলেহেমের দক্ষিণে আল-খাদার শহরে দুই ফিলিস্তিনি শিশু ইসরায়েলি গুলিতে আহত হয়। এছাড়া, বেথলেহেমের পূর্বাঞ্চলীয় আল-উবাইদিয়া শহরে এক ফিলিস্তিনি যুবক গুলিবিদ্ধ হন।
ইসরায়েলি বাহিনী আল-খাদার এলাকার বাওয়াবায় অভিযান চালিয়ে টিয়ার গ্যাস ও স্টান গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, যার ফলে অনেক বেসামরিক নাগরিক শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হন, বলে জানিয়েছে ওয়াফা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফা বলেন, ‘অধিকৃত পশ্চিম তীরে যা ঘটছে, তা ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভিত্তি ধ্বংসের একটি সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, পশ্চিম তীরের উত্তরের বিভিন্ন শহরে সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে, মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, অবকাঠামো এবং বাড়িঘর ধ্বংস করা হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েল অক্টোবর ২০২৩ থেকে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। তখন থেকে ইসরায়েলি সেনা ও বসতকারীদের হামলায় অন্তত ৮৮০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সারাবাংলা/এনজে