কর্ণফুলী দখলমুক্ত করতে ১৫ দিন সময় দিল জামায়াত
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:১২ | আপডেট: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: কর্ণফুলী নদী অবৈধ দখলমুক্ত করতে ১৫ দিন সময় দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির শাহজাহান চৌধুরী।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বর্ষায় চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য নগর জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত র্যালিপূর্ব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস- এগুলো নিয়ে আমরা কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। তবে পাহাড় ধসে মানুষ মারা যায়, সিটি করপোরেশন, সিডিএ কোনো ক্ষতিপূরণ দেয় না। যারা মারা যাচ্ছে, তারা তো খুব গরিব মানুষ। কেন তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না?’
জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামে আর জলাবদ্ধতা দেখতে চাই না। আমি চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিচ্ছি, সরকার যেকোনো সময় যেকোনো কাজের জন্য, যেকোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমাদের ডাক দিলে আমরা সরকারের পাশে থাকব, সরকারকে সহযোগিতা করব। প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়- আপনি যেকোনো সময় চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের জনশক্তিকে ডাক দেবেন, আমরা আপনার পাশে দাঁড়াব।’
‘চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৫১টি খাল অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। খালগুলো যারা দখল করেছেন, আপনারা দয়া করে নিজেরাই আপনাদের স্থাপনা সরিয়ে নেন। যদি না নেন, তাহলে আপনারা যতই প্রভাবশালী হোন না কেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে মিলে খালগুলো উদ্ধার করব ইনশল্লাহ।’
কর্ণফুলী নদী দখলমুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে শাহাজাহান চৌধুরী বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীতে যত অবৈধ স্থাপনা আছে, সবগুলো ভেঙে দিতে হবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সব লিজ বাতিল করে দখলদারদের উচ্ছেদ করতে হবে। এ নদীকে আমরা আবার জোয়ার-ভাটার নদী হিসেবে দেখতে চাই। এটা ১৫ দিনের মধ্যে করতে হবে।’
চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের উদ্দেশে করে তিনি বলেন, ‘আপনি বন্দর চেয়ারম্যানকে চাপ দিন কর্ণফুলী নদী থেকে দখলদার উচ্ছেদের জন্য। উপদেষ্টা মহোদয়কে বলেন, প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীর ফিরিঙ্গিবাজার থেকে কাটগড় পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে।’
নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আরও কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। এরপর বের হওয়া র্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম