বিশ্বইজতেমার জন্য ‘ব্যারিকেড’ কর্মসূচী শিথিল করল তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:১০
বিশ্ব ইজতেমার যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের পূর্ব ঘোষিত ” বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি” কর্মসূচিটি শিথিল করেছে।
আজ সকাল ১১টায় শিক্ষার্থীরা মহাখালীর ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক ব্যারিকেড করার কর্মসূচী থাকলেও ইজতেমার মুসল্লিদের চলাচলের সুবিধার্থে তারা সেটি শিথিল করে নেয়।
সরকারি তিতুমীর কলেজ কে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় ঘোষণার দাবিতে ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টা থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচী পালন করছে শিক্ষার্থীরা। সেই কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ মহাখালী আমতলী সড়ক অবরোধ করার কথা ছিলো। শিক্ষার্থীরা বলছে, ইজতেমা একটি আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্মেলন, যেখানে দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও মুসল্লিরা আসেন। তারা চায় না এই কর্মসূচির কারণে মুসল্লিরা কষ্ট পান। তাই সাময়িকভাবে ব্যারিকেড কর্মসূচী শিথিল করা হয়েছে।
রোববার দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আলি আহমদ।
তিনি বলেন, ‘আজ বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের চলাচলে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, সে কারণে আমরা রেলপথ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। তবে নর্থ সিটির অন্যান্য সড়কে আমাদের ব্লকেড কর্মসূচি চলবে।’
আলি আহমদ আরও বলেন, ‘তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি দীর্ঘ ২৮ বছরের। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা সবকটি যথাযথ মাধ্যম ব্যবহার করেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাইনি। নিরুপায় হয়েই আমরণ অনশন শুরু করি, যা আজ পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। কিন্তু এখনো রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। আমাদের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী দেখছে, তাদের ভাইয়েরা মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে আছে, অথচ কোনো সিদ্ধান্ত আসছে না। তাই তারা ‘ব্লকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচির মাধ্যমে চূড়ান্ত চাপ প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
মাসুম বিল্লাহ নামে একজন পথচারী বলেন , শিক্ষার্থীদের এই মানবিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই আমি । আন্দোলন করা যেমন শিক্ষার্থীদের অধিকার, তেমনি জনসাধারণের চলাচলের বিষয়টিও বিবেচনা করা জরুরি।
সারাবাংলা/এমআর/এসএইচএস