সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থী রানা আহমেদের শারীরিক অবস্থা গুরুতর অবনতি হয়েছে। শরীরে পানিশূন্যতা ও রক্তচাপ কমে যাওয়ায় তিনি বর্তমানে কথা বলতে পারছেন না। ইমারজেন্সি এ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাকে।
রানার পাশাপাশি অনশনরত আরও দুই শিক্ষার্থী রায়হান ও ইউসুফের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাদের মধ্যে একজনের মূত্রত্যাগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসকরা তাদেরকেও দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন জানান, রানা আহমেদের শারীরিক দুর্বলতা এতটাই বেড়ে গেছে যে তিনি ঠিকভাবে চোখ খুলতেও পারছেন না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসা না নিলে তার কিডনি ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।
গত ২৯ জানুয়ারি থেকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর, প্রশাসনিক কাঠামো গঠন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সুবিধা নিশ্চিতকরণ এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ।
আন্দোলনকারীরা জানান, তিতুমীর কলেজ কে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তবে শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ সংকটাপন্ন হয়ে পড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সহপাঠীরা ও অভিভাবকরা।