প্রকল্পের অর্থছাড়ে প্রধান উপদেষ্টার দ্বারস্থ চসিক মেয়র
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:২৬ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:২৩
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন
চট্টগ্রাম ব্যুরো: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এ সময় তারা চট্টগ্রামের উন্নয়ন সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাজধানী ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এদিন প্রায়ই এক ঘণ্টা ধরে তারা বৈঠক করেন।
বৈঠকে তাদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন, বন্দর থেকে ১ শতাংশ মাসুল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সম্পদে রূপান্তর ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পের অর্থছাড়সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সিটি করপোরেশনের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর অর্থছাড়ে প্রধান উপদেষ্টার সহযোগিতা চান মেয়র শাহাদাত হোসেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মেয়রের পরিকল্পনাগুলোকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী, খাল, ও নালাগুলোকে সচল রাখতে হবে এবং দখল ও দূষণ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তা প্রয়োজন। শুধু অবকাঠামো উন্নয়ন করলেই জলাবদ্ধতার সমাধান হবে না। নগরবাসীর মধ্যেও যথাযথ সচেতনতা তৈরি করতে হবে যাতে তারা খাল ও ড্রেনে ময়লা না ফেলে, প্লাস্টিকের ব্যবহার কমায় এবং পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন চর্চা করে। এ জন্য সিটি করপোরেশন নিয়মিত সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছে।’
এ ছাড়া বৈঠকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আদায়ের জন্য এক শতাংশ মাসুল নিয়েও আলোচনা হয়।
মেয়র শাহাদাত বলেন, ‘এ মাসুলের একটি অংশ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। চট্টগ্রাম দেশের প্রধান বন্দরনগরী হওয়ায় এখানকার রাস্তাঘাট, অবকাঠামো ও পরিষেবার ওপর অতিরিক্ত চাপ থাকে। তাই বন্দরের রাজস্ব থেকে নগর উন্নয়নে বরাদ্দ দেওয়া হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও সড়ক উন্নয়ন আরও সহজ হবে।’
নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে করা আলোচনায় তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে যে বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়, এর সঠিক ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নত দেশগুলোর মতো বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তর করার উদ্যোগ নেওয়া হলে এটা পরিবেশের জন্য যেমন ভালো হবে, তেমনি নগরীর অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। চট্টগ্রামে ওয়েস্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট প্রকল্প নেওয়া হলে নগরবাসীর সুবিধা হবে। এ ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগ ও সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।’
সারাবাংলা/আইসি/এইচআই