Tuesday 04 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাবিতে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় শিক্ষার্থী গ্রেফতার

রাবি করেসপন্ডেন্ট
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় গ্রেফতার শিক্ষার্থী ফেরদৌস রহমান ফরিদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিভিন্ন আবাসিক হলসহ মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে এই ঘটনার মূলহোতা।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সাইবার ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেফতার মো. ফেরদৌস রহমান ফরিদ (২২) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের মো. মজিবর রহমানের ছেলে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার পরে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে পালিয়ে যায় এবং চাপাইনবাবগঞ্জ, যশোর, ঢাকা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকে।

জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আমির আলী হলের মুক্তমঞ্চ, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শহীদ হবিবুর রহমান হল, মাদার বখস হল, মতিহার হল, সোহরাওয়ার্দী হল, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক হলের মসজিদের মেঝেতে ও শেলফে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পবিত্র কোরআন শরিফের এমন অবমাননার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান জানান, তদন্ত কার্যের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও অন্যান্য স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এর পর আরএমপি সিটিটিটি বিভাগ ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের একটি সমন্বিত অভিযানিক দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সহায়তায় ফেরদৌস রহমানকে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত ফেরদৌস রহমান ফরিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর মসজিদে পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে নিজের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছে। অভিযুক্ত ফরিদের বক্তব্যসহ অন্যান্য বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘গ্রেফতার শিক্ষার্থীর কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। কয়েকবার সুইসাইড করার চেষ্টা করেছে। মানসিক হাসপাতালেও অনেকদিন ছিল।’

সারাবাংলা/পিটিএম

কোরআন পোড়ানো টপ নিউজ শিক্ষার্থী গ্রেফতার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর