হালদায় ফের মরা ডলফিন, ধারালো বস্তুর আঘাতে মৃত্যু
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫৬ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেড় মাসের ব্যবধানে চট্টগ্রামের হালদা নদীতে আবারও একটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে। ডলফিনটির শরীরে ধারালো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছেন গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বিনাজুরি ইউনিয়নের সিপহাীঘাট এলাকায় নদীতে মৃত ডলফিনটি ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিচার্স ল্যাবরেটরির কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সেটি উদ্ধার করেন।
ল্যাবরেটরির কো-অর্ডিনেটর ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় ৫০ ইঞ্চি দীর্ঘ ও ২৮ ইঞ্চি প্রস্থের মৃত ডলফিনটির ওজন প্রায় ১২ কেজি। ডলফিনটির গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, নদীর উপরিভাগে ধারালো কোনো বস্তু দিয়ে ডলফিনটিকে আঘাত করা হয়েছে, যার ফলে এর মৃত্যু হয়েছে। শরীরে পচন ধরতে শুরু করেছে। এ জন্য ডলফিনটিকে মাটিচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
এ নিয়ে হালদা নদী থেকে ৪৪টি ডলফিনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষক মনজুরুল কিবরিয়া। এর আগে, সর্বশেষ গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর হালদা নদী থেকে একটি মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছিল।
গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের বিচরণ আছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও হালদা নদীতে। ২০১৭ সাল থেকে কর্ণফুলী ও হালদা নদীর ডলফিন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন গবেষকরা। তখন থেকে হালদা ও কর্ণফুলীতে মৃত ডলফিনের সংখ্যা গণনা শুরু হয়।
কর্ণফুলী ও হালদা নদীপাড়ের বাসিন্দারা স্থানীয়ভাবে একে হুতুম বা শুশুক নামে অভিহিত করেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) গাঙ্গেয় ডলফিনকে বিপন্ন হিসেবে লাল তালিকায় রেখেছে। ২০১২ সালের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুসারে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ