ঢাকা: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হক বলেন, আপনি যখন বক্তব্য দেবেন, সেই বক্তব্যে আপনি জুলাই হত্যাকাণ্ডে কাকে কাকে হত্যার নির্দেশনা দিয়েছেন তার সম্পূর্ণ তালিকা তুলে ধরবেন। সেই বক্তব্যের সূত্র ধরে জাতির সামনে ১৬৪ হিসেবে গণ্য হবে। এর ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনে বিচারের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসেবে বিচারের জন্য সহায়ক হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জুলাই আন্দোলনে শহিদদের ১০ খন্ড বইয়ের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে মামুনুল হক বলেন, আপনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যদি এতটুকু সম্মান করতে না জানেন তাহলে কুটনৈতিক সম্পর্ক বাংলাদেশ রাখবে কিভাবে। একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে কোলে বসিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, শহিদদের বিরুদ্ধে আবার নতুন করে বিশোদগার করার জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে দিবেন আর বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে আপনাদের পিড়ীতের সম্পর্ক থাকবে এই ধরনের গাজাখুড়ি কূটনৈতিক চিন্তা করা ঠিক নয়। কাজেই ভারত যেন সতর্ক থাকেন।
হেফাজত নেতা বলেন, সকাল বেলা মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকেন তখন পতিত স্বৈরাচারি দলের লোকজ হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে, ছোবল মারার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে ফজরের নামাজের পরপর। মিছিল করছে বা লিফলেট বিতরণ করার চেষ্টা করছে। আমি দেশপ্রেমিক নাগরিকদের বলব, সারাদেশের মসজিদের মুসল্লিরা এ সময় আপনারা প্রতিহত করবেন। ধরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। বাংলাদেশে বিচার হতে হবে।
তিনি বলেন, ছয় মাস হয়ে গেল বিচারের জন্য কোনো কিছু দৃশ্যমান করছে না সরকার। ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যাদের ধরা হয়েছিল তারাও জামিনে বেরিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে এসব বন্ধ করে ফ্যাসিবাদের বিচার ত্বড়ান্বিত করার জোড় দাবি করেন।
খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, সরকারের উপদেষ্টাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, বিপ্লবের জন্য কোন বড় দলের প্রয়োজন হয় না, বড় কোনো নেতার প্রয়োজন হয় না সেটি ছাত্র আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। এ রকম যদি চলতে থাকে তবে মনে রাখতে হবে বিপ্লব আবারও অবস্যম্ভাবী।