‘আওয়ামী লীগ যে পাপ করেছে তার কোনো ক্ষমা পেতে পারে না’
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩০ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৮
ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, আওয়ামী লীগ যে পাপ করেছে, ওরা কোন ক্ষমা পেতে পারে না। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলাতে হবে। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গণহত্যার বিচার ও আ.লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট না করলে যমুনা ঘেরাও করা হবে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যা ও একদলীয় ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা কায়েমের মাধ্যমে গত ১৬ বছরের গুম, খুন, উন্নয়নের নামে লুটপাট, অর্থ পাচারসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচার ও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা জেলা গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা।
মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, আ.লীগের প্রতি সহানুভূতি দেখানো মানে শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা। এই বেঈমানি যারা করবে, তাদের অবস্থাও আ.লীগের মত হবে। গণঅধিকার পরিষদ শুরু থেকেই গণহত্যার বিচারে সোচ্চার। কিন্তু সরকারের তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভবপর নয়। রাষ্ট্র সংস্কার করতে বিপ্লবী উপদেষ্টা দরকার। কিন্তু এই উপদেষ্টাদের অধিকাংশই সুশীল। তাই তাদের কাছে রাষ্ট্র সংস্কার প্রত্যাশা করি না। ইতোমধ্যে তাদের ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমরা গত ৬ মাসে রাষ্ট্র সংস্কারের নমুনা দেখতে চাই। উপদেষ্টাদের আর্থিক হিসাব জনসম্মুখে পেশ করতে হবে। যারা জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়, আগে তাদের নিজেদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
রাশেদ খাঁন আরও বলেন, সারাদেশে সরকারি সব দফতরে ১ জন করে ছাত্র প্রতিনিধি দেওয়া হয়েছে। সেখানে ছাত্রদের কাজ কি? সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে তাদের খবরদারি খারাপ বার্তা দিচ্ছে। সরকারে কে কোথায় বসবে, এগুলো যদি ছাত্ররা ঠিক করে, তাহলে তাদের সম্পর্কে ভুল ম্যাসেজ যাবে। দল গঠন করবেন, শুভ কামনা রইলো। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের চেতনা এককভাবে দখল করে সরকারের সহযোগিতায় কিংস পার্টি গঠন করলে জনগণ তা মানবে না। দল গঠন করতে চাইলে উপদেষ্টাদের পদত্যাগ করতে হবে।
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যপারে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন উদ্যোগ আমরা দেখছি না। বরং আমরা অনেকাংশেই দেখতে পাচ্ছি তাদের বিষয়ে নমনীয়তা ও উদারতা। আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য গণহত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে, নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
ঢাকা জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এ্ডভোকেট শেখ শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য মাহফুজুর রহমান, সহ-সভাপতি আবদুর রহমান, জাফর মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ নুরুল করিম শাকিল প্রমুখ।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/আরএস