জমির বাঁধাকপি খেয়ে সাত গরুর মৃত্যু, অসুস্থ আরও ৬০টি
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৪২
রাজশাহী: রাজশাহীতে বিষ দেওয়া বাঁধাকপি খেয়ে সাতটি গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়েছে আরও ৬০টি গর। অসুস্থ গরুগুলোকে চিকিৎসা দিচ্ছে পশু চিকিৎসকরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলার পবা উপজেলার বালিয়াগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গরুগুলোর মালিক তিন জন। এরমধ্যে বালিয়া এলাকার জুয়েল রানার একটি, তার ছোট ভাই সোহেল রানার চারটি ও একই এলাকার আবদুল করিমের দুটি গরুর মৃত্যু হয়েছে।
সোহেল রানা জানান, পবার আশগ্রাম এলাকায় শরিফ ইসলামের দেড় বিঘা জমির বাঁধাকপি কিনে নেয়- জুয়েল, সোহেল ও করিম। দাম না থাকায় সেই জমিতে সাড়ে ৭ হাজার পিস বাঁধাকপি এক হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। বুধবার সকালে জমিতে শরিফ ও জুয়েলের মধ্যে কেনা-বেচা হয় বাঁধাকপি। এরপরে তারা বাঁধাকপির জমিতে তিন জনের পালের ৭০ থেকে ৭৫টি গরু নামিয়ে দেন তারা। গরুগুলো বিকেল পর্যন্ত বাঁধাকপি খেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিকেলে গরুগুলো বাড়িতে নিয়ে আসার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে রাস্তায় দুটি গরু পড়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পড়ে মারাও যায়। এরপরে বাড়িতে নিয়ে আসার পরে আরও পাঁচটি গরু মারা যায়। সবমিলে তিন মালিকের সাতটি গরু মারা গেছে। এতে তাদের ৮ থেকে ৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে ঘটনার পরে রাজশাহীর প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের লোকজন ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে এসে গরুগুলো দেখেছেন। এছাড়া তাদের চিকিৎসকরা গরুকে স্যালাইন থেকে শুরু করে সবধরনের চিকিৎসা দিয়েছে। বর্তমানে গরুগুলোর স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া তিনটি গরু জবাই করা হয়েছিল। তবে সেগুলো মাটিতে পুঁতে রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়।
পশু চিকিৎসক মানিক হোসেন জানান, তিনি বিকেলে এই এলাকায় গরুর চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। এ সময় জানতে পারেন বাঁধাকপিতে দেওয়া বিষ খেয়ে অনেকগুলো গরু অসুস্থ হয়েছে। গরুকে স্যালাইনসহ বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গরুগুলো এখন সুস্থ আছে। এখানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তারা এসেছেন। তারা চিকিৎসা দিচ্ছেন।
গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ীহাটে আঞ্চলিক দুগ্ধ ও গবাদি উন্নয়ন খামারের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অসিম কুমার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সেই বাঁধাকপির জমিতে বিষ দেওয়া ছিল। মৃত গরুগুলোর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকার ল্যাবে পাঠানো হবে। সেখান থেকে রিপোর্ট আসলে জানা যাবে গরুগুলোর কি কারণে মৃত্যু হয়েছিল।
রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতোয়ার রহমান বলেন, জীবিত গরুগুলোর শারীরিক অবস্থা ভালো আছে। এছাড়া যে গরুগুলো মারা গেছে সেগুলো মাটিতে পুঁতে রাখা হচ্ছে। এছাড়া নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
সারাবাংলা/ইআ