‘সিন্ডিকেট ধরতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন’
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৫৯
ঢাকা: গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন বলেছেন, প্রবাসীরা গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। তারা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করায়, হাসিনার গদি কেঁপে ওঠে। মধ্যপ্রাচ্যে ৫৭ জন প্রবাসী গ্রেফতারও হয়। কিন্তু এর বিনিময়ে তারা কী পেয়েছে? তাদের সরকার ঠিকঠাক মূল্যায়ন করেনি। সৌদি আরবের বিমান ভাড়া এত বাড়ল কেন? সিন্ডিকেট ধরতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিমান টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গণহত্যার বিচার করতে পারছেনা, আ.লীগ ও শেখ পরিবারকে ধরতে পারছে না। তারা এখনো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। দ্রব্যমূল্যের দাম হুড়হুড় করে বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো সচিবালয়ে আওয়ামী লীগ, পুলিশ-প্রশাসন-র্যাব-বিজিবিতে আওয়ামী লীগ। অন্তর্বর্তী সরকার এখনো আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করেনি। তারা জনগণের আবেগ নিয়ে খেলছে। এভাবে চলতে থাকলে তারা ব্যর্থ হবে। আর তারা ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসবে।’
গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ও উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান বলেন, ‘বিমান টিকিটের দাম কমানোর জন্য ট্রাভেল ট্যাক্স, এক্সাইজ ডিউটি, জেট ফুয়েলের দাম, ল্যান্ডিং ও পার্কিং চার্জসহ সকল অপ্রয়োজনীয় চার্জ প্রত্যাহারের করতে হবে।’
মানববন্ধন থেকে সরকারের কাছে ৪ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হলো-
১. আগামী ৭ দিনের মধ্যে বিমান টিকিটের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে আনতে হবে ও দাম কমাতে হবে।
২. ট্রাভেল ট্যাক্স, এক্সাইজ ডিউটি, জেট ফুয়েলের দাম, ল্যান্ডিং ও পার্কিং চার্জসহ সকল অপ্রয়োজনীয় চার্জ প্রত্যাহার করতে হবে।
৩. বাংলাদেশ বিমানের পাশাপাশি অন্যান্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
৪. টিকিটের দাম স্থিতিশীল রাখতে একটি বিমান টিকিট রেগুলেটরি বোর্ড গঠন করতে হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম