যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা বুদ্ধিমানের কাজ নয়: ইরান
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৯
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, সম্মানজনকও নয়।’
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল শিল্পের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগায়ি এই নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ ও অন্যায্য বলে আখ্যা দেন বলে সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন ইরানের অর্থনৈতিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈধ বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত করে ইরানি জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অন্যায্য।’
ইরান সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা ও দমনমূলক আচরণের সব ধরনের পরিণতির দায় ওয়াশিংটনকেই বহন করতে হবে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা কোনো সমস্যার সমাধান করবে না, বরং অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, তারা চুক্তি করেও তা ছিঁড়ে ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অতীতে ছাড় দিয়েছি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে। যদি তারা আমাদের নিরাপত্তার হুমকি দেয়, তাহলে আমরাও তাদের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে উঠব।’
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঘোষিত নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো মূলত ইরানের তেল রফতানি কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই দেওয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইরানের অপরিশোধিত তেলের রফতানি শূন্যে নামিয়ে আনবেন, যা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের একটি কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় ইরানি কোম্পানি, জাহাজ এবং ব্যক্তিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে, যারা প্রতিবছর চীনে বিপুল পরিমাণ ইরানি তেল সরবরাহ করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা পদক্ষেপের বিপরীতে জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরায় কার্যকর করা যায়।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একতরফাভাবে এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে ইরানের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর ফলে ইরান চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে পরমাণু কর্মসূচি জোরদার করতে বাধ্য হয়।
সারাবাংলা/এনজে