মালখানায় আটকে আছে বাগেরহাট ডিসি অফিসের নতুন ভবন
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:০০ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৩:২০
ঢাকা: মালখানা স্থানান্তর না হওয়ায় আটকে গেছে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুটি ভবনের অপসারণ কাজ। দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো অপসারণ কাজ শুরুই করা যায় নি। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দিয়েছে। ‘বাগেরহাট কালেক্টরেটের নতুন ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটির (পিএসসি) সভায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ মোখলেস উর রহমান মালখানা স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পিএসসি সভায় বলেন, বাগেরহাট কালেক্টরেটের নতুন ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে মোট ১৩০ কোটি ১৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়নের কাজ বর্তমানে চলমান ।
প্রকল্প পরিচালক সভায় বলেন, জেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থান সংকুলানের উদ্দেশ্যে নেওয়া এ প্রকল্পের মাটি পরীক্ষা করাসহ প্রাথমিক কাজগুলো শেষ হয়েছে। কার্য ডব্লিউ-১ প্যাকেজের জন্য দরপত্র আহবান করা হলে প্রাপ্ত দরপত্র গুলো নন-রেসপন্সিভ বিবেচিত হয়। পুনরায় দরপত্র আহবান করা হলে রেসপন্সিভ দরদাতা পাওয়া যায় এবং রেসপন্সিভ সর্বোচ্চ দর গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি অনুমোদন হয়।
প্রকল্প পরিচালক সভায় আরও জানান, বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বিদ্যমান পুরাতন ভবনের ব্লক-১ এবং ব্লক-২ ভেঙ্গে অপসারণ করা প্রয়োজন। এর আগে নিলাম দরপত্র আহবান করা হলে রেসপন্সিভ দরদাতা পাওয়া যায়, যা গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়। বর্তমানে জেলা জজ কোর্টের অংশবিশেষ এবং মালখানা স্থানান্তর না হওয়ায় পুরাতন ভবন অপসারণের কাজ শুরু করা যায়নি।
এ সময় বৈঠকের সভাপতি জেলা প্রশাসক, জেলা জজ, গণপূর্ত বিভাগ, পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে জজ কোর্টের অংশবিশেষ এবং মালখানা স্থানান্তরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, নির্মিতব্য ভবনের প্রাথমিক লে-আউটে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দুইতলা বিশিষ্ট রেকর্ড রুম হওয়ায় এই রেকর্ড রুমটি অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বাগেরহাটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থানা নেবেন বলে সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন।
সারাবাংলা/জেজে/আরএস