ঢাকা: হাওর রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে তাগিদ দিয়েছেন মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেছেন, প্রাকৃতিকভাবে দেশীয় মাছের নানান জাত হারিয়ে যাচ্ছে শুধু অভয়াশ্রমের মাধ্যমে তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে। একদিকে হাওর রক্ষার কথা বলা হচ্ছে অন্যদিকে হাওরে ধানের উৎপাদন বাড়াতে কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে। আর কীটনাশক পানির সঙ্গে মিশে হাওরের মাছের ব্যাপকভাবে ক্ষতি করছে। তাই হাওর রক্ষায় কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে ‘বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়’ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় পাখি শিকার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এ ধরণের শিকার নির্মম, অমানবিক, প্রাণবৈচিত্র্যসহ সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ক্ষতি।
বাইক্কা বিল রক্ষার জন্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে উল্লেখ করে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, বিদেশি সহায়তা নির্ভর না হয়ে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নিজস্ব অর্থায়নে অবিলম্বে দাদুরিয়া বিল খননের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সম্পদ ব্যবস্হাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিতভাবে অভয়াশ্রম রক্ষায় কাজ করা কঠিন হবে।
‘সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কাজগুলো অভয়াশ্রম রক্ষায় বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। বিল রক্ষায় মৎস্য কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকলে কাঙ্ক্ষিতভাবে অভয়াশ্রম রক্ষায় কাজ করা কঠিন হবে। কালচারাল (নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে মাছ উৎপাদন) মাছের ওপর নির্ভর করে চলতে চাই না,’ বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। ৫ আগস্টে শহীদ পরিবার ও আহত পরিবারের সদস্যদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প গ্রহণ করে তাদের সহায়তায় কাজ করে যাবে।’
এর আগে, শ্রীমঙ্গলের হাজীপুর এলাকার বাইক্কার বিল মৎস্য অভয়াশ্রম সংলগ্ন পাড়ে হিজল গাছ রোপন করেন তিনি।