ঢাকা চেম্বারের প্রতিক্রিয়া
দীর্ঘমেয়াদে সংকোচনমূলক অবস্থান ও উচ্চ নীতি সুদহার বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করবে
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১২ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:০৫
ঢাকা: ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে নীতি সুদ হার ১০% রাখার পাশাপাশি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বজায় রাখায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
সংগঠনটির মতে, বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে, এই কঠোর অবস্থানের উদ্যোগ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর ডিসিসিসিআই থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারিখাত ব্যাংকগুলোর উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে থাকে, তবে উচ্চ সুদের হার পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ১০.৮৯ শতাংশ হতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশে নেমে আসা সত্ত্বেও, এটি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নামেনি।
ডিসিসিসিআই, জানুয়ারী-জুন ২০২৫ সালের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৮%-এ অপরিবর্তীত রাখার সিদ্ধান্ত বেসরকারিখাতকে কিছুটা আশাহত করেছে, যদিও ২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৩%, যা বিগত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অপরদিকে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৪.২% হলেও, তা বেড়ে ১৮.১% পৌঁছেছে, এটি মোকাবেলায় সরকারকে কৃচ্ছতা সাধনের দিকে আরো মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ আরো হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারিখাতের আস্থা ও ব্যবসায়িক কার্যকলাপ পুনরুদ্ধারের জন্য এখাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই দ্বি-অঙ্কের ঘরে থাকা প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রণমূলক আর্থিক নীতিমালার কারণে অথনীতিতে স্থবিরতা তৈরির ঝুঁকি মোকাবেলায় ঢাকা চেম্বার ঋণের প্রবাহ বাড়াতে খাত-ভিত্তিক তহবিল এবং উদ্যোক্তা সহায়তা কর্মসূচি চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
ডিসিসিসিআই, আরও নমনীয় মুদ্রানীতি গ্রহণ, ভারসাম্যপূর্ণ আর্থিক নীতি গ্রহণ, মুদ্রাস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির উপর এর প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককের প্রতি আহ্বান জানাচেছ, যার মাধ্যমে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়া বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী দিনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করে ডিসিসিআই।
সারাবাংলা/জিএস/আরএস