গাজার যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘনের কারণে হামাস ইসরায়েলের পরবর্তী বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করায় বেঁকে বসেছেন মার্কিন প্রেসিদেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, যদি শনিবারের মধ্যে সব ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি না পায়, তবে যুদ্ধবিরতি বাতিল করা উচিত।
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির পরে গাজায় নতুন করে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এবং গাজার পরিস্থিতি আরও সংকটময় হয়ে উঠছে।
হামাস দাবি করছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত মানছে না এবং এখনও ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ও মানবিক সহায়তার প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করছে। এরই প্রেক্ষিতে হামাস গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির পরবর্তী ধাপ স্থগিত করার ঘোষণা দেয়।
তবে এতে ট্রাম্প তার বক্তব্যে উলটো জোর দিয়ে বলেন, যদি ইসরায়েলি বন্দিরা মুক্ত না হয়, তবে যুদ্ধবিরতি অবিলম্বে বাতিল হওয়া উচিত।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ইতোমধ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। অনেক ইসরায়েলি নাগরিক তাদের বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের ছুটি বাতিল করেছে এবং গাজার চারপাশে নতুন করে সেনা মোতায়েন করছে।
অন্যদিকে, শীতল আবহাওয়ার কারণে গাজায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আরও দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। বাড়িঘর ছেড়ে তাঁবুতে আশ্রয় নেওয়া হাজারও মানুষ তীব্র ঠান্ডা ও খাদ্য সংকটে কষ্ট পাচ্ছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৪৮,২০৮ জন নিহত ও ১,১১,৬৫৫ জন আহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া হাজারও মানুষ এখন নিহত বলে বিবেচিত হওয়ায় মোট নিহতের সংখ্যা ৬১,৭০৯-এ পৌঁছেছে।