সাগর-রুনি হত্যা মামলা
হাসিনা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বাধায় তদন্ত এগোয়নি: আইনজীবী
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:২৯ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৮
ঢাকা: সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেখ হাসিনা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিরা বাধাগ্রস্ত করেছে। এ কারণে ১৩ বছর পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখেনি বলে জানিয়েছেন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এসব কথা বলেন। এ সময় মামলার বাদী নওশের রোমান, সাগর-রুনির ছেলে মাহির সারওয়ার মেঘ উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মামলাটি তদন্তের জন্য উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠন করেছে। আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, টাস্কফোর্সে যারা রয়েছেন, তারা মামলার বাদী, আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। তদন্ত কমিটির সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানিয়েছেন যে, আগের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তদন্তে বাধা দেওয়া হতো। এ কারণে তদন্ত এগোয়নি।
এর আগে, ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর হাইকোর্টের নির্দেশে সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে পিবিআই প্রধানকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি পদমর্যাদার নিচে নয় পুলিশের একজন প্রতিনিধি, সিআইডির একজন প্রতিনিধি ও র্যাবের একজন প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ঘটনায় করা মামলার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তাদের ছয় মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে বলা হয়। একইসঙ্গে মামলার তদন্ত থেকে র্যাবকে সরিয়ে দেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করতে বলা হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন।
সারাবাংলা/ইউজে/ইআ