চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কফিন মিছিল

আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: গাজীপুরে আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় চট্টগ্রাম নগরীতে কফিন মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে মিছিল বের করা হয়।

রাত ৯টার দিকে নিহত আবুল কাশেমের গায়েবানা জানাজা শেষে কফিন মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন। মিছিলে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক রিজাউর রহমান, জোবায়ের আলম মানিক, সাইফুর রুদ্রসহ বিভিন্ন স্তরের সংগঠকরা উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি আন্দরকিল্লা, চেরাগী হয়ে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে ‘দিল্লি না ঢাকা/ ঢাকা, ঢাকা, আওয়ামী লীগের আস্তানা/ ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, আমার ভাই কফিনে/ খুনি কেন বাহিরে, ছাত্র-জনতার অ্যাকশন/ ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ/ খুনি হাসিনা গেলি কই’-সহ বিভিন স্লোগান দেওয়া হয়।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমাদের লাশের মিছিল থামছে না। লাশের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আমরা বিপ্লবের পর কাশেম ভাইকে হারানোর মাধ্যম প্রতি বিপ্লবের প্রথম শহিদকে পেয়েছি। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই যে সংগঠন খুন, গুম, আয়নাঘর এবং গণহত্যার সঙ্গে জড়িত তারা বাংলাদেশে কোনোভাবে রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আর রাজনীতি করতে পারবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, এ আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিষিদ্ধ করতে হবে। গাজীপুরে কাশেম ভাই শহিদ হওয়ার আওয়ামী লীগের কবর রচনা হয়ে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আর যদি আরেকটা লাশ পড়ে তাহলে লাশের বদলে লাশ নেওয়া হবে, রক্তের বদলে রক্ত নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/আইসি/এইচআই

আবুল কাশেম কফিন মিছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন