পুতিন যুদ্ধ বন্ধের আলোচনায় রাজি: ট্রাম্প
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১৯ | আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০০
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন। এ ঘটনাকে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘ তিন বছরের কিয়েভ নীতির একটি বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক ঘণ্টারও বেশি সময় পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে আমরা শান্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথেও কথা বলেছেন তিনি, তবে ইউক্রেন এ আলোচনায় সমান অংশীদার হবে কিনা সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলেননি জেলেন্সকি।
ফোনালাপের বিষয়ে ট্রাম্প জানান, পুতিন যুদ্ধের অবসানে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। মানুষ আসলে জানত না পুতিন কী ভাবছেন, তবে আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, তিনিও যুদ্ধ শেষ করতে চান। এটি ভালো দিক, এবং আমরা দ্রুত এটি শেষ করার জন্য কাজ করবো।’
তিনি আরও জানান, শিগগিরই পুতিনের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ হতে পারে এবং এই বৈঠক সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এ বিষয়ে কিয়েভকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া সরাসরি আলোচনা চালাতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে, যা বাইডেন প্রশাসনের পূর্বের নীতির বিপরীত।
ট্রাম্প-পুতিন সংলাপের প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্প তাকে আলোচনার বিষয়বস্তু জানিয়েছেন এবং তিনি এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আসল আগ্রহের দিক খুঁজছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের শক্তি, ইউক্রেন ও আমাদের মিত্রদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে রাশিয়াকে শান্তিতে বাধ্য করতে যথেষ্ট হবে।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করে নেয় এবং তা এখনও ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে অধিকৃত অঞ্চল হিসেবে বিবেচিত।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, ট্রাম্প-পুতিন সংলাপে মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে ইউক্রেনই প্রধান এজেন্ডা ছিল।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভ সফর করেন। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার প্রথম ইউক্রেন সফর।
ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন, তবে অর্থমন্ত্রী বেসেন্ট কিয়েভ সফরে মার্কিন বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাইছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা বাস্তবসম্মত নয়।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ চালানোর পর বাইডেন প্রশাসন ও অন্যান্য ন্যাটো দেশ ইউক্রেনের সদস্যপদকে অবশ্যকীয় বলে ঘোষণা করেছিলো।