পবিত্র শবে বরাত
চট্টগ্রামে মসজিদে মসজিদে মুসল্লির ঢল
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৩৪ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৯
নগরজুড়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ উৎসবমুখর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, মসজিদে দেখা গেছে বর্ণিল আলোকসজ্জা। ছবি: সারাবাংলা
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করা হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত।
শবে বরাতের সন্ধ্যায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের নামাজের পরপরই বার আউলিয়ার পূণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামের মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের সমাগম শুরু হয়।
ধীরে ধীরে লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠতে থাকে মসজিদ, সড়ক, অলিগলি। নগরজুড়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ উৎসবমুখর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। নগরীর বেশকিছু মসজিদে বর্ণিল আলোকসজ্জাও দেখা গেছে।

চট্টগ্রামের বড়ো মসজিদগুলো হাজার-হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটেছে। ছবি: সারাবাংলা
নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ এবং আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনের সড়কসহ আশপাশের এলাকায় আতর, টুপি, মেসওয়াক, তসবিহ, আগরবাতি, মোমবাতি, জায়নামাজ, পাঞ্জাবি, নামাজ শিক্ষা ও দোয়া-দরুদের বই, মুখরোচক নানা খাবার, শরবত, চায়ের স্টলসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা দেখা গেছে। চট্টগ্রামের এ দুটি বড়ো মসজিদে হাজার-হাজার মুসল্লির সমাগম ঘটেছে।
শুধু মসজিদ নয়, নগরীতে মুসলিম ধর্মাবলম্বী সাধকদের ঐতিহাসিক মাজারগুলোতেও উপচে পড়া ভিড় তৈরি হয়েছে। নগরীতে শাহসুফি হজরত আমানত খান শাহের দরগাহ মসজিদ, মিসকিন শাহ’র মাজার, গরীব উল্লাহ শাহ’র দরগাহও প্রতিবছরের মতো লোকে-লোকারণ্য হয়ে উঠেছে।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে পালন করা হচ্ছে পবিত্র শবে বরাত। ছবি: সারাবাংলা
নগরীর বাইরে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে ঐতিহাসিক মাইজভান্ডার দরবার শরীফেও যেন লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। নানা বয়সী, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন, ধনী-গরীব নির্বিশেষে এক কাতারে এসে ইবাদত-বন্দেগীর মাধ্যমে রাতটি পার করছেন। মসজিদে-মসজিদে চলছে পবিত্র শবে বরাতের তাৎপর্য ও ফজিলত নিয়ে আলোচনা। এরপর মিলাদ মাহফিল, দরুদ, জিকির, কিয়াম, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত হবে। নামাজ শেষে স্বজনদের কবর জেয়ারতেও ছুটেছেন অনেক মুসল্লি।
নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা মোরশেদ আলম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ধর্মমতে, শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত হচ্ছে সৌভাগ্যের রজনী। এ রাতে নফল ইবাদত-বন্দেগিতে ধর্মপ্রাণ মুসলিম মহান আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের চেষ্টা করেন। আমাদের বিশ্বাস, বান্দাদের জন্য আল্লাহ তাআলা রহমতের দরজা খুলে দেন। আল্লাহ আগামী এক বছরের রিজিক ও ভাগ্য নির্ধারণ করেন এ রাতে।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম