১০ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টিপু
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৫ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০৪
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু।
ঢাকা: হামলা-মামলা ও নিরাপত্তাহীনতার দীর্ঘ এক যুগ পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারমুক্ত দেশে ফিরছেন ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর বিএনপি নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থকরা গাড়িবহর নিয়ে তাকে বরণ করেন। এ সময় বিমানবন্দরের টার্মিনালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলটির সিনিয়র নেতাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।
আনোয়ার হোসেন টিপু বলেন, আমার আগমনকে কেন্দ্র করে এমন কিছু করবেননা যাতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। দেশে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সাল থেকে জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে ২৮টি মামলা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরের আমাদের লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা দিয়ে শেখ হাসিনা কাউকে দেশ ছাড়া, কাউকে বাড়ি ছাড়া করেছে। অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সেই ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত বছর আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা এখন নিরাপদ ও মুক্ত।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে নির্বাসিত থাকা কালেও শেখ হাসিনার আক্রোশ থেকে আমি রেহাই পায়নি। গত ১০ বছরে একাধিকবার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর লুটপাট করে। পাশাপাশি পুলিশ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের জন্য ঢাকার বাসায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাসায় আমাকে না পেয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় আমার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।
এর আগে ২০১৫ সালে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু। সেসময় ষড়যন্ত্রমূলক পুলিশ হত্যাসহ প্রায় ৩০টি মামলা দেওয়া হয় তার বিরুদ্ধে। দেশ ছাড়ার পরে তৎকালীন সরকার তার পরিবারের ওপর নানাভাবে হয়রানি করে। একাধিকবার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও ঢাকার বাসায় হামলা করে আয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। পরিবারের সদস্যদের করা হয় নির্যাতন।
সারাবাংলা/এসআর