আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৬ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৮
ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়া গোমাইল এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী শিশুসহ ১১ জন দগ্ধের ঘটনায় শিউলি আক্তার (৩২) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিউলি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন, বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।
তিনি জানান, শিউলির শরীরের ৯৫শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এ ঘটনায় আরও ১০জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। এরমধ্যে আট জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
বর্তমানে সুর্য্য বেগমের (৫০) সাত শতাংশ, সোহেলের (৩৮) দশ শতাংশ, সুমন রহমানের (৩২) ৯৯ শতাংশ, শারমিন আক্তারের (৩৫) ৪২ শতাংশ, সোয়াইদের (৪) ২৭ শতাংশ, সুরাইয়ার (৩ মাস) নয় শতাংশ, মনির হোসেনের (৪০) ২০ শতাংশ, ছামির মাহমুদ ছাকিনের (১৫) ১৪ শতাংশ, মাহাদীর (৭) দশ শতাংশ ও জহুরা বেগমের (৭০) পাঁচ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন।
এরআগে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া গোমাইল গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। রাত ১টার দিকে দগ্ধদের জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের। তারা ওই বাসার দুইতলায় ভাড়া থাকে। ঘটনার সময় তিনি নিজে মসজিদে ছিলেন। খবর পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার ধারণা সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা আগে থেকেই চালু ছিল তখন দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে ছিল। কেউ একজন রান্না করতে গিয়ে আগুন ধরাতেই সেটি চারদিকে ছড়িয়ে পরে।
দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ বলেন, সুমনদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকে। বোন শিউলি থাকে নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম থাকে মুন্সিগঞ্জে। সোহেলও থাকে গোমাইল এলাকায়। সুমন গ্রাফিক্সে কাজ করে, আর সোহেল গার্মেন্টস কোম্পানীতে কাজ করেন। আর মনির সেনেটারী ব্যবসা করেন।
তিনি আরও বলেন, শবেবরাত উপলক্ষ্যে গতকাল সবাই সুমনদের বাসায় যান। রাতে রুটি পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
সারাবাংলা/এসএসআর/এমপি