জবিতে খোলা ড্রেনের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:০০ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৮
ঢাকা: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সুনামধন্য এ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন খুব ছোট হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরের পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা খুবই শোচনীয়। নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত এমন ড্রেনেজ ব্যবস্থায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ। এছাড়াও নষ্ট হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য ও তৈরি হচ্ছে ডেঙ্গুর মত ক্ষতিকর মশা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় পাশে দিয়ে বয়ে যাওয়া ড্রেনে কোনো ঢাকনা না থাকায় ক্যাফেটেরিয়ার রান্নাবান্নার সকল ময়লা এ ড্রেন দিয়ে চলে যায়। ড্রেনে ঢাকনানয়া থাকায় এবং নিয়মিত পরিষ্কার না করায় এর দুর্গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি ক্যাফেটেরিয়ার ভেতরেও এ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হচ্ছে খাবার গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া সামাজিক বিজ্ঞান ভবন-১ এর সামনে এবং পেছনে ও কলা ভবনের সামনে ও পেছনে ড্রেনগুলোর একই অবস্থা লক্ষ্য করা যায়। ওপর থেকে পয়ঃনিষ্কাশনের পানি জমে ড্রেনে আবদ্ধ হয়ে থাকে। এছাড়া নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার না করায় ড্রেনে ময়লা জমে ড্রেন ময়লা এবং পানি জমে নোংরা ও দুর্গন্ধ সৃষ্টি করছে।
এদিকে বিজ্ঞান ভবন-দক্ষিণে সামনে, প্রশাসনিক ভাবনের চারপাশে, বিজ্ঞান ভবন-উত্তরের পেছনে ডরমেটরী ভবনে প্রবেশের রাস্তায় এমন উন্মুক্ত ড্রেন দেখা যায় যা থেকে দুর্গন্ধ ও জমে থাকা পানি থেকে নিয়মিত মশার জন্ম হয়েই চলছে। এছাড়াও সাজিদ ভবনের পেছনে এমন অরুচিকর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।

রাস্তায় এমন উন্মুক্ত ড্রেন থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ
এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বর্ধন, দুর্গন্ধ ও ডেঙ্গুর মত ক্ষতিকর মশার কামড়ে তারা অতিষ্ঠ। ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোণায় এ দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় স্বাভাবিক পরিবেশে থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী সুজন রানা বলেন, ‘আমাদের ছোট্ট ক্যাম্পাস সবসময় পরিপাটি থাকাটা আমাদের কাম্য কিন্তু সবখানে ড্রেনগুলো উন্মুক্ত থাকার জন্য প্রায় পুরো ক্যাম্পাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া উন্মুক্ত ড্রেনের দৃশ্য আমাদের ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যেরও হানি করেছে।’
ডরমেটরীতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ফেরদাউস হোসেন বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের সমস্যা না, পুরো ক্যাম্পাসের সমস্যা। আমাদের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক নেই। পয়ঃনিষ্কাশনের যাদের দায়িত্ব তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করায় এ সমস্যা হচ্ছে। দায়িত্ব পালনে তাদের কোথায় সমস্যা এ বিষয়ে প্রশাসনেকে জানাতে হবে।’
ড্রেনের সমস্যা সমাধানে ও ড্রেনের ঢাকনা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। আমি ইন্জিনিয়ার পাঠাবো। ড্রেনে ঢাকানা বসানোর জন্য যতোটা সম্ভব দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা/এসডব্লিউ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দুর্গন্ধ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর ড্রেন