তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর তাদের ওয়েবসাইট থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি সরিয়ে ফেলেছে, যেখানে বলা ছিল, ‘আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করি না।’ চীন এই পরিবর্তনকে ভুল বার্তা বলে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সিদ্ধান্ত সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে।
আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের তথ্যপত্রে স্পষ্টভাবে বলা ছিল, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে নয়। কিন্তু গত সপ্তাহে এই বক্তব্য সরিয়ে ফেলা হয়।
এর পাশাপাশি নতুন তথ্যে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা যেখানে প্রযোজ্য সেখানে তাইওয়ানকে আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ পেতে সমর্থন করবে।
মার্কিন এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো ‘ওয়ান চায়না’ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর মানে, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে না।
তাইওয়ানে মার্কিন কার্যত দূতাবাস জানিয়েছে, এই পরিবর্তন শুধু সম্পর্কের অনানুষ্ঠানিক দিক বোঝানোর জন্য করা হয়েছে।সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিবর্তনকে গুরুতর ভুল বলে মন্তব্য করেছে।
চীনা মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বলেন, ‘এটি তাইওয়ানের স্বাধীনতাপন্থীদের জন্য ভুল বার্তা পাঠাচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের চীনবিরোধী নীতির আরেকটি উদাহরণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ভুল সংশোধনের আহ্বান জানাই এবং ওয়ান চায়না নীতির প্রতি আন্তরিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই।’
অন্যদিকে, তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিন চিয়া-লুং এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং একে তাইওয়ান-বান্ধব বলে উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান নিজেদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র দাবি করলেও চীন একে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে একীভূত করার হুমকি দিয়ে আসছে।