ঢাকা: ফরিদ উদ্দিন ছিলেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক। গত ৫ আগস্টের পর ডিআইজি এপিবিএন হিসেবে পদায়ন করা হয়। এবার সেই ফরিদকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ‘গণহত্যার পাহারাদার’ হিসেবে আখ্যায়িত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ২৮৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি করা এ মামলা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান এরই মধ্যে মামলাটি আমলে নিয়েছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) মামলা এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রিয়াজ মোর্শেদ অপুকে (২৪) হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেছেন যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ কুতুবখালির রুমা বেগম। অপু রুমা বেগমের ভাগিনা। মামলার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনসহ ৪৫ জনের ব্যাপারে বলা হয়, ঘটনাস্থলের চারিদিক পাহারা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা যেন ভিকটিমকে রক্ষা করতে এগিয়ে না আসতে পারে তার জন্য এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন এবং অস্ত্র উঁচু করে ভীতি প্রদর্শন করেন।
আন্দোলনের সময়ে ধারণ করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে থাকা ভিডিওতে র্যাব কর্মকর্তা ফরিদের বক্তব্য ছিল, এখানে সাধারণ শিক্ষার্থী নেই, সরকারবিরোধী লোকজন জড়ো হয়েছে। আমরা যদি প্রাণহানি ঘটাই তাহলে এখানে ক্লিয়ার করতে ১০ মিনিটের মতো সময় লাগবে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে সামনের সারিতে থাকা এই র্যাব কর্মকর্তা পটপরিবর্তনের পর ভোল পাল্টাতে থাকেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে পার্বত্য জেলাগুলোয় এপিবিএনের সিইও হিসেবে পদায়ন করা হয়।