Tuesday 25 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লুট হওয়া ১৪০০ অস্ত্র, আড়াই লাখ গুলি উদ্ধার হয়নি: আব্দুল হাফিজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১৯ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৮

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।

ঢাকা: সরকার পরিবর্তনের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া এক হাজার ৪০০ অস্ত্র এবং আড়াই লাখ গোলা বারুদ এখনো উদ্ধার হয়নি। এসব উদ্ধারে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চেয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা পদ মর্যাদার এই বিশেষ সহকারী বলেন, জেলা প্রশাসক হিসেবে আগামী দিনে কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে তা বলা হয়েছে বৈঠকে।

লুট হওয়া প্রায় এক হাজার ৪০০ অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংখ্যক অস্ত্র ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হয়েছিল। এই তালিকায় আছে আড়াই লাখ গোলা বারুদ। যা এখনো উদ্ধার হয়নি। সেগুলো তাদের জেলাতে কোনো না কোনো জায়গায় আছে। সেগুলো সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা ব্যবহার করতে পারে।

তিনি বলেন, আমি উল্লেখ করেছি স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে এবং তারা কর্মসূচি দিচ্ছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে, সে ব্যাপারে তাদের সজাগ থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রায় ছয় হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে। তিন ভাগের চার ভাগ উদ্ধার হয়ে গেছে। ছয় লাখ গুলির মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ উদ্ধার করা যায়নি, তার মানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে চলমান যে অভিযান আছে সেগুলোর মাধ্যমে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

রমজান মাস ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়তে হবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, দ্রব্যমূল্য জেলা প্রশাসক নিজ জেলায় কম রাখতে পারেন সেজন্য চেষ্টা করতে হবে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটা যাতে মোকাবিলা করা যায়, কৃষকরা যাতে সেচের উপকরণ এবং কৃষি উপকরণ সময়মতো পান সেসব বিষয় বলেছি। দ্রব্যমূল্য তাদের ক্রয়-ক্ষমতার মধ্যে যেন থাকে, এটা সাধারন মানুষ দেখতে চায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যে সেবা সরকারের কাছে মানুষের পাওয়ার কথা সেটা যেন ঠিক মতো কোনো হয়রানি ছাড়া পান। মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক যারা আছেন মানুষের জন্য তারাই সরকার। কাজেই যে সুযোগ-সুবিধার নিশ্চয়তা বিধান করার কথা সেগুলো তাদেরই করতে হবে।

আব্দুল হাফিজ বলেন, আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য প্রশ্ন ছিল পার্বত্য চট্টগ্রামে কুকি চিন ন্যাশনাল ফন্ট যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে তার কারণে কয়েকটি জেলায় পর্যটন শিল্প ব্যাহত হচ্ছে। এ পর্যটন শিল্প ব্যাহত হওয়ার কারণে সেখানকার ইয়াং জেনারেশন কাজ হারাচ্ছে, চাকরি হারাচ্ছে এবং তারা সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। সেখান থেকে কীভাবে উত্তরণ করতে পারি সে সংক্রান্ত প্রশ্ন ছিল জেলা প্রশাসকদের।

তিনি বলেন, কুকি চিনের বিরুদ্ধে আমাদের যে অভিযান সেটা চলছে এবং এ পর্যন্ত কুকি চিনের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে আমাদের সাতজন সেনা সদস্য নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন অভিযান চলবে তারা নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।

নরসিংদীর ছয়টি ইউনিয়ন চরাঞ্চল, দুর্গম সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে মানুষ হত্যা হচ্ছে, নিহত হচ্ছে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকরাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর