যানবাহনের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে ‘অনলাইন গেট পাস’ চালু
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫০
‘অনলাইন গেট পাস সিস্টেম’ উদ্বোধন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান। ছবি: সারাবাংলা।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বন্দরের প্রবেশপথে নগদ টাকায় নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে ‘গেট পাস’ সংগ্রহ করে যানবাহন প্রবেশের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর পরিবর্তে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইনে গেট ফি জমা দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ম্যানুয়ালের পরিবর্তে ‘অনলাইন গেট পাস সিস্টেম’ চালু হওয়ায় বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় চালকদের এখন গাড়ি নিয়ে গেটে বা সড়কে অপেক্ষমাণ থাকতে হবে না। এর ফলে বন্দর এলাকায় ও বিমানবন্দর সড়কে যানজট কমার পাশাপাশি আর্থিক ও সময় অপচয় রোধ হবে, যা পুরো বন্দরের কার্যক্রমকে গতিশীল করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের চার নম্বর গেট এলাকায় ‘অনলাইন গেট পাস সিস্টেম’ উদ্বোধন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
এ সময় বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ডিজিটাল গেট পাস একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে কাজের গতি অনেক বাড়বে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের কোন গেটে কতটি গাড়ি প্রবেশ করেছে, তা হিসেব রাখা এখন সহজ হয়ে যাবে। আগে এমন তথ্যগুলো আমাদের কাছে ছিলো না। মোবাইল অ্যাপের ড্যাশবোর্ডে দেখা যায়, কোন সময় গাড়ি বেশি প্রবেশ করছে। চালকরা তা দেখে যানজট না হয় মতো করে বন্দরে এসে দ্রুত তাদের কাজ সেরে চলে যেতে পারবেন। এতে বন্দরের পরিবহন বিভাগ আরো গতিশীল হবে।’
‘এছাড়া অনলাইনে গেট পাস ইস্যুর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রিক যানজট বহুলাংশে কমে আসবে। বন্দরের অ্যাফিশিয়েন্সি বাড়বে। জাহাজের টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম কমে যাবে। কার্গো হ্যান্ডেলিং ফাস্ট হবে। তারপর কার্গো ও কনটেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গতি পাবে। তাই এ সার্ভিস সার্বক্ষণিক মেইনট্যানেন্সের জন্য একটি টিম কাজ করবে।’
নতুন পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথাও বলেন বন্দর চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার গাড়ি প্রবেশ করে। এসব গাড়ির প্রতিটিকেই গেট পাস সংগ্রহ করে বন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করতে হয়। এখন ডিজিটাল গেট পাস অ্যাপ চালু হওয়ায় প্রতিটি গাড়ি ফি বাবদ অনলাইনে ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা পরিশোধ করে বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে। এতে প্রতিটি গাড়ির ১৫ থেকে ২০ মিনিট সময় বাঁচবে।
সারাবাংলা/আরডি/এসআর