রংপুর: বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে বাংলাদেশ আর কাঁটাতারের বেড়ায় ফেলানীকে দেখতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’ আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী সমাবেশের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান।
তারেক রহমান বলেন, ‘ভারত যদি তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা না দেয়, তাহলে বাংলাদেশ, কৃষক, কৃষি ও জনগণকে বাঁচাতে পথ আমাদেরকে খুঁজে নিতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সম্ভাব্যকে কাজে লাগাতে হবে এবং জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালো ভাবে বাংলাদেশের দাবি তুলে ধরতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও কূটনৈতিক কাজ করতে হবে ও আলোচনা করতে হবে।’
বাংলাদেশকে ১৯৯২ সালের ওয়াটার কনভেনশন ও ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘ পানি প্রবাহ কনভেনশন সই করা জরুরি হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক রহমান।
উত্তরাঞ্চলকে বাঁচাতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কোনো বিকল্প নিয়ে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপির রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার দেশের জনগণের সব গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও মানবাধিকার অধিকার কেড়ে নিয়ে ও ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে ডাকাতি করেছে। পলাতক খুনি স্বৈরাচারের আমলে জাতীয় নির্বাচনকে তামাশার বিষয়বস্তু বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দলগুলোর পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা শুনলেই অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ বিচলিত হয়ে ওঠেন। একেকজন উপদেষ্টার একেক রকম বক্তব্য জাতীয় নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পথকে সুগম করে দিচ্ছে।’