গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনটা এখন জরুরি: শামসুজ্জামান দুদু
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:১১ | আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:০৮
ঢাকা: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, দীর্ঘ ১৭ বছর লড়াই সংগ্রামের শেষ ইনিংস ছিল এক মাসের চূড়ান্ত আন্দোলন। সেই আন্দোলন হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছে। আওয়ামী লীগ চূড়ান্তভাবে পরাজিত হয়ে পালিয়ে গেছে। এই পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই গণতন্ত্রের জন্য নির্বাচনটা এখন জরুরি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতীয়তাবাদী বাস্তুহারা দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শরীফ হাফিজুর রহমানের (টিপু মাস্টার) স্মরণে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরীর চেষ্টা হচ্ছে। যদি বিশৃঙ্খলা হয় নির্বাচন হবে না। আর নির্বাচন না হলে ফ্যাসিবাদের উল্লাস আবারও দেখা দিবে। তাই বিশৃঙ্খলা বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে নির্বাচন দিন। বিশৃঙ্খলা যদি বাদ দিতে না পারি, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীদের হাত শক্তিশালী হবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণনির্বাচিত যে ব্যক্তিগুলো আসবে, তারা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করবে। ভাত এবং ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আমি চাই, খুনিদের বিচার দ্রুত হোক। সে জায়গায় আমরা লক্ষ্য করছি একটু ঢিলা ব্যাপার রয়েছে। বাংলাদেশকে যারা একেবারেই ধ্বংস করে দিয়েছে, তাদের ব্যাপারে ঢিলা হওয়া যাবে না। তবে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে এবং বলেছে তারা দ্রুত বিচার করবে।
তিনি বলেন, খুনি পার্শ্ববর্তী একটা দেশে অপেক্ষা করছে। সেই দেশ সারাবিশ্বে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। সর্বশেষ আমেরিকা গিয়েছে, কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট যেসব কথা বলেছে তাতে খুনি এবং খুনির অভিভাবক হতাশ হয়েছে। সামনে আরও হতাশ হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপত্বিতে ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এড. আব্দুস সালাম আজাদ, মুক্তিযুদ্ধ দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান,মুক্তিযুদ্ধ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার এবং কৃষক দলের শাজাহান মিয়া সম্রাট।
সারাবাংলা/এফএন/ইআ