Saturday 22 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদালতের পর্যবেক্ষণ
রাজনৈতিক হয়রানির লক্ষ্যে খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৬

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে অন্যায়ভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি করা হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণে বলেছেন বিচারিক আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম বলেন, ‘নাইকো দুর্নীতি মামলায় রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে অন্যায়ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে নাইকো দুর্নীতি মামলায় আসামি করা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেননি। এমনকি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহারও করেননি।’

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম নাইকো দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দেন। এর পর রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক এসব কথা বলেন।

বিচারক পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় নাইকোর সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। নাইকোর দুর্নীতির ঘটনায় শেখ হাসিনার নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি পরে খারিজ হয়ে যায়। এরপর বেগম খালেদা জিয়ার নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বেগম খালেদা জিয়া কোনো দুর্নীতি করেনি। এমনকি তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেননি। তাই বেগম খালেদা জিয়াসহ আট আসামিকে মামলার দায় হতে খালাস প্রদান করা হলো।’

খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

বিজ্ঞাপন

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের নামে মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগে এ মামলা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ মামলার বিচার চলাকালীন ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

সারাবাংলা/পিটিএম

খালেদা জিয়া রাজনৈতিক হয়রানি

বিজ্ঞাপন

২২তম দিনে নতুন বই এলো ১৪৪টি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর