হামাস গাজায় বন্দি চার ইসরায়েলির মৃতদেহ ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে। হামাস জানিয়েছে, এদের মধ্যে দুই শিশু ও তাদের মা ছিলেন, যাদের ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামলার সময় বন্দি করা হয়েছিল। এছাড়া, ৮৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের দেহও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে মৃতদেহগুলো আইসিআরসির কাছে হস্তান্তর করা হয়। মৃতদেহের কফিনগুলো রেড ক্রসের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
হামাসের এক মুখপাত্র দাবি করেছেন, ‘জায়নিস্ট দখলদার বাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে বন্দিদের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছিল, যেখানে তারা বেঁচে ছিল।’
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ইসরায়েলি বন্দিদের নিরাপদে রাখার চেষ্টা করেছিল, তাদের যত্ন নেওয়া হয়েছিল এবং মানবিক আচরণ করা হয়েছিল, কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বন্দিদারদের হত্যা করেছে।
এই মৃতদেহ হস্তান্তর হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তির অংশ, যার আওতায় কয়েক’শ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, একটি ফিলিস্তিনি সংস্থা জানিয়েছে, ইসরায়েল এখনো অন্তত ৬৬৫ ফিলিস্তিনির মৃতদেহ আটকে রেখেছে, যাদের মধ্যে কয়েকজন ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে নিহত হয়েছিলেন।
খান ইউনিস থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হস্তান্তরের স্থলটি ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতীকী, কারণ সাম্প্রতিক সামরিক অভিযানের সময় এটি ছিল ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান ঘাঁটি।
হস্তান্তরের পর মৃতদেহগুলো কফিনে রাখা হবে এবং ইসরায়েলি সামরিক রাব্বি সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা পরিচালনা করবেন। এরপর এগুলো জাতীয় ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে পরিচয় নিশ্চিত করতে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন লাগতে পারে।
এই দেহ হস্তান্তরের পর শনিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আরও ছয় জীবিত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের বিনিময়ে ইসরায়েল কয়েক শ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে মুক্তি দেবে।