Friday 21 Feb 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশি আরও ১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩২ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:৩০

নাফ নদী। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের নাফনদী থেকে বাংলাদেশি আরও ১৯ জেলেসহ ৪ টি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার পথে জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন।

তিনি জানান, ১৯ জেলেসহ ৪ টি ট্রলার নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ ঘটনায় বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ফেরত আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে দুইটি ট্রলার টেকনাফের কায়ুকখালী ঘাটের এবং অপর দুইটি শাহপরীরদ্বীপ ঘাটের বলে জানিয়েছেন ইউএনও।

টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল জলিল বলেন, ‘টেকনাফের ফেরার পথে কায়ুকখারী ঘাটের মাছ ধরার দুটি ট্রলারসহ ৯ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি।’

শাহপরীর দ্বীপ মাঝারপাড়া নৌ ঘাটের সাধারণ সম্পাদক আবদুর গফুর জানিয়েছেন, শাহপরীর দ্বীপ মাঝপাড়া ঘাটের দুই ট্রলারসহ ১০ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে তারা।

এর মধ্যে শাহপরীরদ্বীপের ঘাটের ট্রলার দুটির মালিক মো. কালাইয়া ও জাফর আলম বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও অপর দুইটি মালিককর নাম জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি নাফ নদী মোহনায় মাছ ধরতে যাওয়া চার বাংলাদেশি মাঝিমাল্লাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধরে গেছে আরাকান আর্মি।

ওই জেলেরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহরীর দ্বীপ দক্ষিণপাড়া বাসিন্দা নৌকার মাঝি মোহাম্মদ হাছান (৩০), আবদু রকিম (২০), মো. জাবের (২৬) ও মোহাম্মদ হাছান (১৬)। তাদের গত ১০ দিনেও ফেরত আনা সম্ভব হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত বছর ৬ অক্টোবর সকালে টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ জেটিঘাট থেকে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারসহ ৫৮ জেলে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যায়। তাদের ৯ অক্টোবর অপহরণ করে সে দেশের নৌ বাহিনী। এ সময় মিয়ানমার নৌ বাহিনীর টহলরত একটি স্পিড বোট থেকে বাংলাদেশি একটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে জেলেদের ফেরত দেওয়া হয়। কিন্তু তখন এ বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। এছাড়াও ১৫ অক্টোবর মিয়ানমারের রাখাইনে অনুপ্রবেশ করা মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হেফাজতে থাকা বাংলাদেশি ১৬ জেলেকে ফেরত এনেছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সারাবাংলা/এসআর

১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি কক্সবাজার টেকনাফ নাফনদী সারাবাংলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর