প্রিমিয়ার ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটগুলো বাজারের কাছাকাছি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:১১ | আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:২৮
প্রিমিয়ার ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. আহসান উল আলম
ঢাকা: প্রিমিয়ার ব্যাংকের বেশিরভাগ এজেন্ট আউটলেট বাজারের কাছাকাছি। আমরা ব্রাঞ্চ বা সাব-ব্রাঞ্চের অধীনে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছি। যাদের এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া হয় তাদের সামাজিক অবস্থান ও আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকের ঝুঁকি কম।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে দৈনিক সারাবাংলা ও সারাবাংলা ডটনেট আয়োজিত ‘এসডিজি অর্জনে গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত এলাকার অন্তভূর্ক্তিতে এজেন্ট ব্যাংকিং এর ভূমিকা ও অন্তরায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. আহসান উল আলম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি সারাবাংলার ফেসবুক পেইজ, ইউটিউব চ্যানেল, সারাবাংলার ওয়েবসাইট ও সারাবাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচারিত হয়। দ্যা প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি ও সোনালী ব্যাংক পিএলসি এই আয়োজনে সার্বিক সহায়তা করেছে।

এজেন্ট ব্যাংকিং এর ভূমিকা ও অন্তরায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক। ছবি: সারাবাংলা
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সারাবাংলার হেড অব নিউজ এস এম গোলাম সামদানী ভূঁইয়া। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবীবের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাই্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্টমেন্ট এর অতিরিক্ত পরিচালক সোহেলী আফরীন, ব্র্যাক ব্যাংকের অল্টারনেট ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রধান নাজমুর রহিম, সোনালী ব্যাংক পিএলসির অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (এজেন্ট ব্যাংকিং প্রকল্প) মোজাম্মেল হক ও অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন-
‘প্রত্যন্ত এলাকার সবাই যেন এজেন্ট ব্যাংকের সেবা পায়’
তিন স্তরে মনিটরিং হয় ব্র্যাকের এজেন্ট ব্যাংকিং
প্রত্যন্ত এলাকায় মিলছে সোনালীর এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা
প্রিমিয়ার ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এজেন্ট ব্যাংকিং ডিভিশনের প্রধান মো. আহসান উল আলম বলেন, ‘এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু আগ পর্যন্ত যদি লক্ষ্য করি, দেশের জনগণের মাত্র ৩০ ভাগ মানুষ আর্থিক অন্তর্ভূক্তিমূলক সেবার মধ্যে আছে। তখন পর্যন্ত ৭০ ভাগ মানুষই আর্থিক সেবার বাহিরে ছিলো। আর সে কারণেই এজেন্ট ব্যাংকিং এর যাত্রা শুরু হয়। গত ১০ বছরে দেশের আড়াই কোটি গ্রাহকের মাধ্যমে আমরা এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা গ্রাম-গঞ্জে নিয়ে গেছি। সবগুলো ব্যাংক মিলে ২১ হাজার এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে আড়াই কোটি গ্রাহকের মধ্যে গেছি। এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ১২ হাজার কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিছু যায়গায় হয়তো সমন্বতি প্রয়াসের অভাব রয়েছে। প্রতিটি মানুষই একটি নির্দষ্ট অঙ্ক ব্যাংকের মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারে। প্রিমিয়ার ব্যাংকের ২০০ টি এজেন্ট আউটলেট রয়েছে। আমাদের এজেন্ট আউটলেগুলোর বেশিরভাগ বাজারের কাছাকাছি। আমরা ব্রাঞ্চ বা সাব ব্রাঞ্চের অধীনে এজেন্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি। এর ফলে গ্রাহকরা যে সেবাটি পাচ্ছে তারা আর্থিক সেবার আওতায় আসছে। আমরা সাব ব্রাঞ্চগুলোকে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সহায়ক হিসাবে ভাবছি। এভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং এর সেবা ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছি। যাকে এজেন্ট হিসাবে নিয়োগ দিচ্ছি, সে যেন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য এবং তার আর্থিক সক্ষমতা থাকে সেটি বিবেচনায় নেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঝুঁকি আছ এবং থাকবে। এজেন্ট ব্যাংকিং এর ঝুঁকি যতোটা আছে তারচেয়ে বেশি প্রচারিত হয়। এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে যারা অ্যাকাউন্ট খোলা হয় সেখানে কিন্তু আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়। এজেন্ট ব্যাংকিং এ বেনামে একাউন্ট খোলার সুযোগ নেই। একজনের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে আরেকজন অ্যাকাউন্ট খুলবে এমন সুযোগ নেই। ফলে শুধুমাত্র একটি সচেতনতা দরকার টাকা জামা দেওয়ার পর সমপরিমাণ টাকা জমার মেসেজ তার ফোনে আসছে কিনা। আমরা আশা করছি, এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রার একটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।’
সারাবাংলা/ইএইচটি/এনজে
এজেন্ট ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকের সেবা দৈনিক সারাবাংলা প্রিমিয়ার ব্যাংক সারাবাংলা ডটনেট