শহিদ মিনারে আইএসপিএবি’র শ্রদ্ধা
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৪৮
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)
ঢাকা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসায়ীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের সকল ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়ার নের্তৃত্বে আইএসপিএবি’র অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।
এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি’ গানে গানে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে।
এছাড়াও দেশের ৭টি বিভাগীয় শহরে আইসপিএবি’র সকল বিভাগীয় সাব- কমিটি প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকেও স্ব স্ব বিভাগীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এই সময়ে বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহিদ মিনার বেদী ত্যাগ করার পর একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে শহিদ মিনারে ভাষা শহিদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। এরপর প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ শ্রদ্ধা জানান। তারপর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম রাতেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা জানানো শেষে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় তিনটা পর্যন্ত মানুষের ঢল ছিল শহিদ মিনারে।
প্রথম প্রহর শেষে ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শহিদ মিনার অভিমুখে মানুষের ঢল নামে। এগিয়ে আসতে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলের ব্যানারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এসডব্লিউ