বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার আহ্বান ক্যাবের
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৫২ | আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১১
ঢাকা: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনার পরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বানও জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনে এ আহবান জানায় ক্যাব। এ সময় গত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লুটের পরিমাণ প্রকাশ করার এবং ট্রাইব্যুনাল গঠন করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা এম. শামসুল আলম বলেন, ‘বর্তমান বিইআরসি পূর্বের বিইআরসির ধারা বজায় রাখছে, যা দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। তাদের আচরণের মাধ্যমে বিইআরসি আইনের যে উদ্দেশ্য তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। যা আগের বিইআরসি করে গেছে এখনকার বিইআরসি তার ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে। জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পুরো জাতির মধ্যে যে চেতনা তৈরি হয়েছে, বিইআরসি কর্মকাণ্ড সে চেতনার বিরোধী। আজকের বক্তব্যের পর আমরা আশা করছি বিইআরসি গণশুনানি স্থগিত করবে, ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে যে পরিমাণ লুণ্ঠনমূলক ব্যয় হয়েছে, তার পরিমাণ নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের রাজস্ব কমিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ভর্তুকি কি পরিমাণ কমানো সম্ভব তা বিইআরসিকে নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইবুনাল গঠন করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির যে প্রস্তাব পাওয়া গেছে সে শুনানি স্থগিত করবে। এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা গণশুনানিতে যাবো এবং দাবি বাস্তবায়নে বিইআরসি যেন একাত্মতা প্রকাশ করে।’
সংবাদ সম্মেলনে ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূইঁয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শওকত আলী খান, বাপার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এমএইচ/এসআর
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ক্যাবের আহবান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ভর্তুকি সারাবাংলা