নির্বাচন প্রশ্নে যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:১০ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:২৬
ঢাকা: জাতীয়, নাকি স্থানীয়- কোন নির্বাচন আগে? এ নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে মত-দ্বিমত চলছে বেশি কিছুদিন ধরেই। আর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে বিতর্ক। দিন দিন এ নিয়ে বিতর্ক বাড়ছেই। তবে বিশেষজ্ঞরা নির্বাচন নিয়ে বিতর্কে না গিয়ে সরাসরি বলছেন, আগে প্রয়োজন সংস্কার। যদিও এ বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে নির্বাচন কমিশন।
তবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দল বিএনপি চাইছে, ভোটের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। তারা প্রতিটি জনসভা থেকে শুরু করে সেমিনারগুলোতেও দ্রুত সংসদ নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছে। সংস্কার প্রশ্নে এই দলটি বলছে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই মূল সংস্কারে হাত দেবে। তাতে জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে। আর জামায়াতে ইসলামী চায়, সংস্কার শেষ করে নির্বাচন। তাদের দাবি, সংস্কারের পর দেওয়া হোক স্থানীয় সরকার নির্বাচন। তবে বিএনপি এর উল্টো পথে হাঁটছে। বিএনপি চায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে জাতীয় নির্বাচন হোক।
এ নিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনেক জায়গায় আলোচনা দেখি, সংস্কার না নির্বাচন? আমি তো এ দুটোর মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখি না। বলেন, সবকিছুই করা সম্ভব। তবে নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হলে প্রয়োজন সংস্কার। সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আসবে, সেটা টেকসই হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কবে, কখন আর কীভাবে হবে তা নির্ভর করবে কমিশনসহ চার অংশীজনের ওপর। সংস্কার কমিশন, সরকার, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দল- এই চার অংশীজন যখন ঐকমত্যে পৌঁছবে তার পর আলোচনা হবে- কোন নির্বাচন আগে হবে; স্থানীয়, নাকি জাতীয়। আর এ ক্ষেত্রে যত দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছবে, তত দ্রুতই হবে নির্বাচন। তবে নির্বাচন কমিশনকে বাস্তবতা দেখে ও নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়েই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।’
এদিকে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রধান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ এ বিষয়ে সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোন নির্বাচন আগে হবে, স্থানীয় নাকি জাতীয়? এ বিতর্কে না গিয়ে আগে প্রয়োজন সংস্কার।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছে যা করবে সেটাই নির্ধারিত হবে। তবে এ বিষয়ে যেসব সংস্কার প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়ন জরুরি।’
এদিকে এসব বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে নির্বাচন কমিশন। ২৩ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার গণমাধ্যমকে জানান, ঐকমত্য কমিশনের ফলাফল পেলে একটা যৌক্তিক সময়ে তফসিল ঘোষণা করবে কমিশন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরকে টার্গেট করে নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছি। কারণ, ডিসেম্বরে ভোট করতে গেলে অক্টোবরে তফসিল করতে হবে। এ ছাড়া, অক্টোবরের মধ্যে আইন-কানুন ও বিধিবিধান সংস্কার শেষ করতে হবে।’ এখন শুধু দেখার বিষয়- ঐকমত্য কমিশনের মতামত।
সারাবাংলা/এনএল/পিটিএম
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন সংস্কার স্থানীয় সরকার নির্বাচন