ফিলিস্তিনি ৬২০ জন কারাবন্দিদের মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার পরে পশ্চিম তীরে ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। এর আগে হামাস ঘোষণা দেয়, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে আর কোনো যুদ্ধবিরতির আলোচনায় জড়াবে না তারা।
রয়টার্স জানিয়েছে, ছয় ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি এবং চার জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে এসব ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে। অপরদিকে, হামাস শনিবারেই ইসরায়েলি জিম্মিদের হস্তান্তর করেছে বলে জানিয়েছে হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য নাঈম।
বাসেম নাঈম জোর দিয়ে আরও বলেন, ‘চুক্তিতে সেসব শর্ত থাকে, শত্রুরাও যেন তা মেনে চলে, তা মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করতে হবে।’
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং জিম্মি মুক্তির সময় অসম্মানজনক অনুষ্ঠান বাতিল না করা পর্যন্ত ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি ও বন্দিদের হস্তান্তর করার অপেক্ষা করবে ইসরায়েল।’
ইসরায়েলের অভিযোগ, সম্প্রতি জিম্মি মুক্তি দেওয়ার সময় হামাস জিম্মিদের সঙ্গে ‘অসম্মানজনক আচরণ’ করছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারাও বলেছেন, জিম্মিদের সম্মান রক্ষা পায়নি, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী।
হোয়াইট হাউস থেকেও ইসরায়েলের সিদ্ধান্তে সমর্থন দেওয়া হয়েছে। রোববার হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়, ‘হামাস ইসরায়েলি জিম্মিদের সঙ্গে বর্বর আচরণ করেছে। (ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি) পিছিয়ে দেওয়া এর যথাযথ জবাব হয়েছে।’
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র ব্রায়ান হিউস বলেন, ‘হামাস সম্পর্কে ইসরায়েল যে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাতেই সমর্থন দিতে প্রস্তুত আছেন।’
উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের ৪২ দিনে হামাসের মোট ৩৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা। বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগার থেকে ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।