বেক্সিমকো শিল্প পার্ক কর্মীদের পাওনা পরিশোধে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৫৭ | আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৫২
ঢাকা: শ্রম আইনের ২০ ধারা মোতাবেক বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৪০ থেকে ৪২ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী হাসিনার পতনের পর, হাসিনা রেজিমের অন্যতম এক মাফিয়া সালমান এ ফ রহমানেরও শাসন ত্রাসনের পতন ঘটে। তিনি বর্তমানে কারাবন্দি আছে।
তারা বলেন, আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য সালমান এফ রহমানের সর্বোচ্চ শান্তি চাই আমরা। বেক্সিমকো দেশের সর্ববৃহৎ শিল্প গ্রুপ। দেশের রফতানি আয়ে এই শিল্প গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। কিন্তু গত ছয় মাস ধরে এই শিল্প গ্রুপের শ্রমিক কর্মচারীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দুর্নীতিবাজ মাফিয়া সালমানের অপরাধের দায় বেক্সিমকোর শ্রমিক কর্মচারীরা নেবে কেন? সালমানের অপরাধের দায় কোনোভাবেই বেক্সিমকোর শ্রমিক কর্মচারীদের নয়। তাই চলতি মাসের মধ্যে শ্রম আইনের ২০ ধারা মোতাবেক কর্মচারীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধ করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা ও শ্রম উপদেষ্টার হস্তক্ষে কামনা করছি। অন্যথায় গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি নারী নেত্রী মোশরেফা মিশু। উপস্থিত ছিলেন শহিদুল ইসলাম সবুজ, তাসমিমা আখতার ও রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা দাবি পেশ করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে-
- গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের আশুলিয়া থানা শাখার সভাপতি খোরশেদ আলমসহ বেক্সিমকোর গ্রেফতার হওয়া নির্দোষ শ্রমিক কর্মচারীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি,
- শ্রমিক-কর্মচারীদের নামে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার,
- শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমীক-কর্মচারীদের সব পাওনা-ক্ষতিপূরণ অবিলম্বে পরিশোধ,
- রমজান মাসে সব শিল্প এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা করে স্বল্পমূল্যে রেশনিং এর পদক্ষেপ নেওয়া এবং
- রমজানের মধ্যে দেশের সব কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বোনাস পরিশোধ করা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/ইআ