ঠাকুরগাঁওয়ে সাংবাদিকের ওপর হামলা, বিএনপি নেতা বহিষ্কার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৫ | আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৭
ঠাকুরগাঁও: সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি নেতা জুবাইদুর হক চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে জেলা বিএনপি। অপরদিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দৈনিক বাংলার সাংবাদিক মামুন অর রশীদ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের।
অপরদিকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের সই করা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জুবাইদুর হক চৌধুরীকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন বিএনপির সব পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজারে চায়ের দোকানে অবস্থান করছিলেন সাংবাদিক মামুন। কিছুক্ষণ পর আখানগর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জবাইদুর চৌধুরী তার দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় মামুনের ওপর। কোনোকিছু বোঝার আগে হামলাকারীরা তাকে বেধরক মারপিট করতে থাকে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে তার গলা চেপে ধরেন। এক পর্যায়ে তার অন্ডকোষে লাথি মারলে সে মাটিতে নুটিয়ে পরে।
এ ঘটনায় রাতেই তাৎক্ষনিকভাবে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এ সময় সংবাদকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান তারা।
অপরদিকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সুধী জন থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের নেতাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’
আহত সাংবাদিক মামুন অর রশিদ বলেন, ‘কয়েক মাস আগে তাকে নিয়ে চাঁদাবাজির একটি রিপোর্ট করেছিলাম। তিনি প্রায় মুঠোফোনে আমাকে হুমকি দিত। আজকে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাহিনী নিয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে প্রাণে মেরে ফেলতো। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করছি।‘
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জুবাইদুর হামলার ঘটনা কথা স্বীকার করে বলেন, ‘সে আমাকে নিয়ে একটা লেখা লিখেছিল ফেসবুকে। তারপর থেকে তাকে দেখা করতে বলেছিলাম, সে দেখা করেনি। আজকে তাকে বাজারে পেয়েছি। তারপরে তাকে পেটানো হয়েছে। তবে তার মাইর কম হয়েছে।’
রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, ‘মামুনের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। সাংগঠনিকভাবে জবাইদুর হকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের বলেন, ‘আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত আছে।
সারাবাংলা/এইচআই