নওগাঁয় রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২৭
নওগাঁ: নওগাঁতে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, ছোলা, তেল, মুড়ি, চিড়া, চিনি, গরুর মাংসসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের ন্যায্য মূল্যের দোকানের উদ্বোধন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে দোকানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল। এ সময় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী, সংবাদকর্মী ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনের পরই দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। অপরদিকে ন্যায্য মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে পণ্য কিনতে আসা ক্রেতারা। তবে আগামীতে আরও প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো তালিকায় যুক্ত করতে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলার ১১টি উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে সপ্তাহের প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বিক্রি করা হচ্ছে।
এই দোকানে প্রতি কেজি চিনি ১২৫টাকা, মুড়ি ৯২টাকা, চিড়া ভাজা ৯০টাকা, কাঁচা ৬৮টাকা, ছোলা ও মসুর ডাল ১০০টাকা, প্রতি লিটার সরিষার তেল ১৮০টাকা ও প্রতি হালি ডিম ৪০টাকা দরে পাওয়া যাবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন বলেন, ‘রমজান মাসে যেন প্রতিটি মানুষই তাদের খাবার তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার পণ্য হিসেবে গরুর মাংস রাখতে পারেন সেই জন্য জেলা প্রশাসকে নির্দেশনায় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংসও বিক্রি করা হচ্ছে। এই দোকান থেকে ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার এই দোকান থেকে সর্বনিম্ম ২৫০গ্রাম থেকে ২কেজি করে গরুর মাংস ৬২০টাকা কেজিতে কিনতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘জেলা জুড়ে পুরো রমজান মাস জুড়েই ন্যায্য মূল্যের এই দোকানগুলো চালু থাকবে। প্রতিদিন এই দোকান থেকে সুলভ মূল্যে যে কোনো ক্রেতা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কিনতে পারবেন। রমজান মাসে নিম্ম আয়ের খেটে খাওয়া ও মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপকে আমরা বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া টিসিবি ও ট্রাক সেল সার্ভিসগুলোও চালু রয়েছে। এতে করে দেশের নিম্ম ও মধ্যম আয়ের মানুষরা রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কিনতে গিয়ে কিছুটা স্বস্তি পাবেন। পরবর্তিতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আরও প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো দোকান থেকে বিক্রি করা হবে।’
এ ছাড়া খোলা বাজারে যেন কোনো ব্যবসায়ী রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কোনো পণ্যের দাম বেশি না নিতে পারে এবং নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য প্রতিদিন জেলা জুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলেও জানা জেলা প্রশাসক।
সারাবাংলা/এইচআই