Saturday 01 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশুর মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১ মার্চ ২০২৫ ১৫:৩৮ | আপডেট: ১ মার্চ ২০২৫ ১৬:১১

প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ঢাকার আশুলিয়া গোমাইল এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের নারী শিশুসহ ১১ জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন সোয়াইদ (৪) নামে আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ঘটনাটিতে মারা গেলেন চার জন।

শনিবার (১ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সোয়াইদ। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, সোয়াইদের শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। শ্বাসনালীও পুড়ে গিয়েছিল। আইসিইউতে ভর্তি ছিল সে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।

এর আগে, এই ঘটনায় দগ্ধ হয়ে মারা যান সোয়াইদের মা শারমিন (৩২), বাবা সুমন রহমান (৩৫) ও ফুফু শিউলি আক্তার (৩২)।

বিস্ফোরণের দুর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়ার গোমাইল গ্রামে একটি ভাড়া বাসার দ্বিতীয় তলায়। ওই রাতেই একই পরিবারের দগ্ধদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ নারীর মৃত্যু

আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ দম্পত্তি

দগ্ধরা হলেন- সূর্য বেগম (৫০), তার ছেলে সোহেল (৩৮), সুমন রহমান (৩৫) ও মেয়ে শিউলী আক্তার (৩২)। আর সুমনের স্ত্রী শারমিন আক্তার (৩২), ছেলে সোয়াইদ (৪) ও মেয়ে সুরাইয়া (৩ মাস)। শিউলীর স্বামী মনির হোসেন (৪০), দুই ছেলে ছামির মাহমুদ ছাকিন (১৫) ও মাহাদী (৭)। সুমনের ফুফু জহুরা বেগম (৭০)।

প্রতিবেশী মো. আবু ইসহাক জানান, দগ্ধরা সবাই একই পরিবারের। ওই বাসার দুই তলায় ভাড়া থাকতেন সুমন-শারমিন দম্পত্তি। ঘটনার পর খবর পেয়ে দ্রুত ওই বাসায় গিয়ে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার ধারণা, সিলিন্ডার গ্যাসের চুলা আগে থেকেই চালু ছিল। তখন দুই রুমে গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছিল। কেউ একজন রান্না করতে গিয়ে আগুন জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণ ঘটে।

বিজ্ঞাপন

দগ্ধ সুমনের ফুফাতো ভাই মো. মাসুদ জানান, সুমনদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলায়। গোমাইল এলাকায় ভাড়া থাকেন তারা। বোন শিউলি থাকেন নবাবগঞ্জ দিঘিরপাড় এলাকায়। ফুফু জোহরা বেগম থাকেন মুন্সিগঞ্জে। সোহেলও থাকেন গোমাইল এলাকায়। সুমন গ্রাফিক্সে কাজ করতেন। আর সোহেল একটি কোম্পানিতে কাজ করেন। মনির স্যানিটারি ব্যবসা করতেন।

তিনি আরও বলেন, শবে বরাত উপলক্ষ্যে শুক্রবার সবাই সুমনদের বাসায় বেড়াতে যান। রাতে রুটি পিঠা বানানোর জন্য চুলা জ্বালাতেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সারাবাংলা/এসএসআর/এসডব্লিউ

অগ্নি দগ্ধে মৃত্যু আশুলিয়া আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ শিশু নিহত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর