কুষ্টিয়া: রমজানকে সামনে রেখে খেজুর, ছোলা, চিড়া, মুড়ি ও গুড়ের দাম এখনো স্থিতিশীল থাকলেও কুষ্টিয়ার বাজারে বেড়েছে লেবু, শসা, বেগুনসহ কাঁচা সবজির দাম।
শনিবার (১ মার্চ ) কুষ্টিয়া পৌর বাজার ঘুরে ঠিক এমন চিত্র দেখা গেছে। তবে বাজারে ক্রেতা সাধারণের ভিড় ছিল উপচে পড়া।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, রবিবার (২ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে রমজান এ কারণে সবাই স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি কেনাকাটা করছে ক্রেতারা। এ অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম কমে আসবে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, রমজানে খেজুরের চাহিদা বেশি থাকায় প্রতি কেজি ২০০-১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বাজারে ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০৫-১১০ টাকা। সেই সাথে মসুর ডাল ১১০-১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তবে অস্থিরতা রয়ে গেছে সয়াবিন তেলের বাজারে। গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রতি লিটার ১৮০ টাকা বিক্রি হলেও দোকানিরা দাম বাড়িয়ে এখন বিক্রি করছে ১৯০ টাকা এমন অভিযোগ করছে সাধারণ ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সয়াবিন তেল সংকট থাকায় এমনটি হচ্ছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিনের দাম প্রতি লিটার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা এবং খাসি ১০৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বাভাবিক রয়েছে ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম।
রমজান ঘিরে বাজারে মুড়ির চাহিদা বাড়াই প্রতি কেজি মুড়ি ৭০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিড়া প্রতি কেজি ৮০ টাকা, গুড় ১২০-১৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
লেবুর চাহিদা বাড়াই বাড়তি দামে লেবু বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ৭০ টাকা যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা হালি।
অন্যদিকে, বেসন ৮০-১২০ টাকা, বেগুন সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ৩০ টাকা যা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে, শসা ৫০ টাকা, ডিম প্রতি আলী ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকজন ক্রেতা সাথে কথা হলে তারা বলেন, অনেক পণ্যের দাম ঠিকঠাক থাকলেও কিছু কিছু পণ্যের দাম বিক্রেতারা সিন্ডিকেট তৈরি করে বাড়িয়েছে। বাজার মনিটরিং চালু থাকলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কুষ্টিয়া জেলার সহকারী পরিচালক মো. মাসুম আলী বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং চলমান রয়েছে। আমারা বেশ কয়েকজন অসাধু ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি, সুনিদিষ্ট প্রমান পেলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।