দুর্গাপুরে ৪৮ ঘণ্টায় ৮ জনের বিষপান, ২ জনের মৃত্যু
১ মার্চ ২০২৫ ২২:২১
রাজশাহী: রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় ৪৮ ঘণ্টায় পৃথকভাবে ছয় নারীসহ আট জন বিষপান করেছেন। এদের মধ্যে এক শিশুও আছে। তাদের মধ্যে দুই নারী মারা গেছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পৃথক ঘটনাগুলোতে এখনো ছয় জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে শনিবার (১ মার্চ) পর্যন্ত বিষপানে অসুস্থ ও মৃত্যুর ঘটনাগুলো ঘটেছে। এই ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ও দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন জন করে মোট ছয়জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মৃত দুই নারী হলেন- উপজেলার পাইকড়তলী গ্রামের ওয়াশিমের স্ত্রী জান্নাতুন (২৫) ও উপজেলার তেবিলা গ্রামের রন্টুর স্ত্রী তহমিনা (৩০)। এর মধ্যে জান্নাতুন শনিবার (১ মার্চ) দুপুরে ও শুক্রবার দিবাগতে রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তহমিনা রামেক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বিষপান করা অন্যান্যরা হলেন- দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর গ্রামের ময়না বিবি (৪৫), বেড়া গ্রামের রেজাউলের শিশু সন্তান তানজিমুল (৩), কানপাড়া গ্রামের বিথি (৩০), দেবীপুর গ্রামের মহনা (১৮), পানানগর গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৪৫), কাশেমপুর গ্রামের ইরিন খাতুন (২০) ও সায়বাড় গ্রামের হাবিবা খাতুন (১৫)।
জানা গেছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কীটনাশক পান করা রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। কয়েকজন রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীর মৃত্যু হয়। এখনো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. মেহেদী হাসান জানান, কীটনাশক পান করে ৪৮ ঘণ্টায় আটজন রোগী ভর্তি হয়েছিল। এদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুনেছি সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়া তিন সুস্থ আছেন।’
দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম আলী জানান, কীটনাশক পানে আত্মহত্যার চেষ্টা ও মৃত্যুর ঘটনায় থানায় দু’টি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়গুলো তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/পিটিএম