ঢাকা: রাজধানীর গুলশান শাহজাদপুরে আবাসিক হোটেলে আগুনের ঘটনায় নিহত আরেকজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তার নাম ইশরাফুল আলম সজিব (৪০)। তিনি নদ্দা এলাকায় ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতেন। সোমবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্বজনরা মরদেহটি শনাক্ত করেন।
নিহত সজিবের শ্যালক মিজবাউল হক শান্ত জানান, সজিব নদ্দা কালাচাঁদপুর এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। সেখানে নিউ ঢাকা হলিডে নামে ট্রাভেলস এজেন্সির ব্যবসা রয়েছে তার। বিকেল থেকে তাকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার দিকে সজিবের স্ত্রী আফসানা মিমি ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়।
তিনি বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে গুলশান থানায় আমরা খোঁজ করতে যাই। সেখান থেকে বলা হয়, ঢাকা মেডিকেলে তিনটা অজ্ঞাত মরদেহ আছে, সেখানে খোঁজ নিতে। পরে রাতে ঢাকা মেডিকেলে এসে বোন জামাই সজিবের মরদেহ দেখতে পাই। পুলিশের কাছ থেকে জানতে পারি, শাহজাদপুর এলাকায় আবাসিক হোটেলে আগুনের ঘটনায় মারা যান তিনি। সজিব ট্রাভেল এজেন্সির ব্যবসা করতেন। হয়তো বিদেশে যাওয়ার বিষয়ে কোনো ক্লায়েন্টের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন।’
শান্ত বলেন, ‘সজিবের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আরাফপুর গ্রামে। বাবার নাম হাজি ইয়ছিন। বর্তমানে গুলশান নদ্দা কালাচাঁদপুর এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে থাকতেন। সেখানে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।’
এর আগে একই দিন বিকেল ৪টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য চারটি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় গুলশান থানা পুলিশ। এর মধ্যে বিকেলেই একটি মরদেহ শনাক্ত হয়। তার নাম মিরন জমদ্দার (৫৫)।
গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ হোসেন জানান, চারটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের প্রক্রিয়া চলছে। দু’টি মরদেহের শরীরে হালকা দগ্ধ আছে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত দুটি মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। বাকি দু’টি মরদেহ এখনো অজ্ঞাত হিসেবে রয়েছে। তাদের বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ বছর।’